সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল একটি অদ্ভুত প্রেমের গল্প ভাইরাল হচ্ছে যা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। পাকিস্তান থেকে আসা এই গল্পে, ২২ বছর বয়সী আলিয়া তার প্রাক্তন বাড়ির কাজের লোক, ৫৫ বছর বয়সী রফিককে বিয়ে করেছেন। বয়সের এই ৩৩ বছরের বড় পার্থক্য এবং কাজের লোক-মালকিন-এর সম্পর্ক এখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে রূপান্তরিত হয়েছে, যা মানুষকে ভাবতে বাধ্য করেছে যে কীভাবে একজন সাধারণ কাজের লোক এত কম বয়সী এবং সুন্দরী মেয়ের মন জয় করলো। তাদের এই অপ্রত্যাশিত বিয়ে সমাজের প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুনকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং ভালোবাসার অর্থ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

পাকিস্তানি ইউটিউবার সৈয়দ বাসিদ আলী তার চ্যানেলে এই দম্পতির পুরো প্রেমের গল্প শেয়ার করেছেন। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল একটি রিকশায়, যেখানে রফিক আলিয়াকে তাকিয়ে থাকা একটি ছেলেকে পিটিয়েছিল। শুরুতে, আলিয়া রফিকের ক্রমাগত পিছু নেওয়াতে বিরক্ত হয়ে তাকে চড় মেরেছিলেন। কিন্তু, রফিকের জেদ তাকে আলিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে, যেখানে সে চাকরির সন্ধানে নিজেকে একজন ভালো গৃহকর্মী এবং চমৎকার রাঁধুনি হিসেবে উপস্থাপন করে। আলিয়ার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল, তাই তিনি রফিককে কাজে রাখলেন। তাদের সম্পর্কের আসল মোড় আসে যখন রফিক আলিয়ার কথায় সুস্বাদু হাঁড়ি মটন তৈরি করে। রফিকের হাতের এই মটন আলিয়ার মন জয় করে নেয় এবং এখান থেকেই তাদের ভালোবাসার শুরু হয়। এখন রফিক বাড়ির সমস্ত কাজ সামলান, আর আলিয়া পরিবারের খরচ দেখাশোনা করেন। এই অস্বাভাবিক প্রেমের গল্পে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া আসছে, কেউ কেউ এটিকে সত্যিকারের ভালোবাসা বলছেন আবার কেউ কেউ মজা করে বলছেন যে আলিয়ার হয়তো সারাজীবনের জন্য বিনামূল্যে একজন কাজের লোক দরকার ছিল।