রোজকার চা পান কি আপনার স্বাস্থ্যের শত্রু? চমকে দেবে বিশেষজ্ঞের মতামত!

ভারতের মানুষের কাছে চা পানের অভ্যাস যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে দুধ চা এখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। অনেকের দিনের শুরুই হয় এক কাপ চা দিয়ে, এরপর সারাদিনে ৪ থেকে ৫ কাপ চা পান করাটা যেন তাঁদের জন্য বাঁধা, ঋতু নির্বিশেষে শীত হোক বা গ্রীষ্ম। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক জেনেও এই অভ্যাস চলে আসছে দিনের পর দিন। কারও বাড়িতে গেলেই প্রথমে এক কাপ চায়ের প্রস্তাব দেওয়াটা এক সাধারণ রীতি। তবে আজকাল কিছু মানুষ চায়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন, কারণ এটি স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে, প্রতিদিন চা পান আমাদের শরীরের কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে এবং কতটা পরিমাণে পান করা আমাদের জন্য সঠিক হবে।
দিল্লির শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিকেল ইনস্টিটিউটের প্রধান ডায়েটিশিয়ান প্রিয়া পালিওয়াল বলেন, প্রতিদিন চা পান করা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চা পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। দিনে ২ থেকে ৩ কাপ চা পান করা পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু এর বেশি পরিমাণে পান করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। চায়ে ক্যাফেইন থাকে, যা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ঘুমের সমস্যা, অস্থিরতা, হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া এবং মাথাব্যথার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, খালি পেটে চা পান করলে গ্যাস, অ্যাসিডिটি এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। কিছু লোক দুধ ও চিনির সঙ্গে অতিরিক্ত চা পান করেন, যা ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার মাত্রা বিগড়ে যাওয়া এবং হাড় দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বেশি চা পান করলে শরীরে আয়রন শোষণও কমে যায়, যার ফলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া হতে পারে। চা পান করার সঠিক সময় হলো সকালের জলখাবারের পর এবং দুপুরের খাবারের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর। ঘুমানোর ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে চা পান না করার চেষ্টা করুন, যাতে ঘুমের উপর প্রভাব না পড়ে। ভেষজ চা বা গ্রিন টি-এর মতো বিকল্পগুলি সীমিত পরিমাণে ভালো হতে পারে, তবে এগুলিও বেশি পান করা উচিত নয়। আপনি দুধ চা পান করুন বা গ্রিন টি, এটি আপনাকে সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত। এর সাথে আবহাওয়ার দিকেও খেয়াল রাখা উচিত।