আখিলেশের মাস্টারস্ট্রোক: কংগ্রেসের মুসলিম ভোট টানার চেষ্টাকে কীভাবে রুখছে সপা!

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আর মাত্র দুই বছর বাকি, কিন্তু রাজনৈতিক চাল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। সাহারানপুর থেকে কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বর্তমানে সামনের সারিতে থেকে খেলছেন এবং সমাজবাদী পার্টিকে (সপা) মুসলিম বিরোধী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যে প্রতিটি মুসলিম ইস্যুতে কংগ্রেসের আক্রমণাত্মক অবস্থান দেখে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব কৌশলে তার দুই বিশিষ্ট মুসলিম মুখ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেলিম ইকবাল শেরওয়ানি এবং বরেলির বাহেরি থেকে বিধায়ক আতাউর রহমান, কে রাজনৈতিক ময়দানে নামিয়েছেন।
সপা-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সেলিম ইকবাল শেরওয়ানি ‘সমাজবাদী সদ্ভাবনা সংবাদ’ কর্মসূচির মাধ্যমে মুসলমানদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এদিকে, সপা-র সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক আতাউর রহমান উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ‘পিডিএ চর্চা’ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সপা-র এই দুই মুসলিম নেতাকেই আক্রমণাত্মক ও আবেগপ্রবণ রাজনীতির পরিবর্তে গম্ভীর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হয়। অখিলেশ যাদব সেলিম শেরওয়ানিকে পশ্চিম ইউপির জেলাগুলিতে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছেন, আর আতাউর রহমানকে পূর্বাঞ্চল ও রোহিলখন্ডে সপা-র ‘মিশন-মুসলিম’-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অখিলেশ যাদবের এই কৌশলগত পদক্ষেপের লক্ষ্য মুসলিম ভোটকে সুসংহত করা, যা ২০২৭ সালের নির্বাচনী যুদ্ধে সহজ বিজয়ের পথ খুলে দেবে। পশ্চিম ইউপিতে মুসলিমদের উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে, এবং বদায়ুন থেকে পাঁচবারের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেলিম শেরওয়ানির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তার ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয়কেই আকর্ষণ করে, অখিলেশ যাদবের তাকে ‘সমাজবাদী সদ্ভাবনা সংবাদ’ সম্মেলনের দায়িত্ব দেওয়ার একটি প্রধান কারণ।