উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি অবসর নিচ্ছেন, কে হচ্ছেন পরবর্তী পুলিশ প্রধান?

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাহিনীতে একটি বড় নেতৃত্বের পরিবর্তন আসন্ন, কারণ বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) প্রশান্ত কুমার ৩১শে মে অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন। এই আসন্ন অবসর প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে, সিগনেচার বিল্ডিং এবং লোক ভবন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন এবং বিরোধী দলের কার্যালয় পর্যন্ত, যা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। মূল প্রশ্নটি হল, কুমারের প্রস্থানের পর রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব কার হাতে অর্পণ করা হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বর্তমান ডিজিপির কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, যা চলমান আলোচনার মধ্যে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্র অনুসারে, প্রশান্ত কুমারের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। এই জল্পনার প্রধান কারণ হলো, তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং পছন্দের কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই তাঁকে কার্যনির্বাহী ডিজিপির দায়িত্ব অর্পণের একটি মূল কারণ বলে মনে করা হয়। যদিও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে প্রশাসনিক মহলে জোর আলোচনা চলছে যে, যদি কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি না হয়, তাহলে রাজ্যকে একজন নতুন ডিজিপি খুঁজতে হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রবীণ আইপিএস আধিকারিক যেমন রাজীব কৃষ্ণ, বি.কে. মৌর্য এবং তিলোত্তমা বর্মার নাম উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচিত হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, সেটি একজন নতুন মুখ হোক বা প্রশান্ত কুমারের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি হোক, নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পছন্দ এবং বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হবে।
প্রশান্ত কুমার একজন ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস কর্মকর্তা এবং বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের কার্যনির্বাহী ডিজিপি হিসেবে কর্মরত। বিহারের সিওয়ান জেলার বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার উত্তরপ্রদেশ পুলিশে তাঁর দ্রুত কার্যকারিতা, সংগঠিত অপরাধ এবং মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে ৩০০টিরও বেশি এনকাউন্টার হয়েছে, যেখানে বেশ কয়েকজন কুখ্যাত অপরাধী নিহত হয়েছে। তিনি মিরাট জোনের এডিজি, ডিজিপি আইন শৃঙ্খলা এবং ডিজিপি অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা বাহিনীতে তাঁর বিস্তৃত এবং প্রভাবশালী কর্মজীবনের পরিচয় বহন করে।