ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট? ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না এই ৫ জিনিস!

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফ্রিজ একটি অপরিহার্য জিনিস, যেখানে আমরা leftovers, দুধ-দইয়ের মতো দুগ্ধজাত পণ্য থেকে শুরু করে শাকসবজি এবং ফল সবই সংরক্ষণ করি, যাতে সেগুলো দীর্ঘ সময় ধরে তাজা এবং সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু, যারা ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হন, তাদের জন্য একটু বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। বিদ্যুতের বারবার আসা-যাওয়ার কারণে ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে না, ফলে রাখা খাবার দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে। যখন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে, ফ্রিজ বারবার ঠান্ডা এবং গরম হয়। এর ফলে কিছু খাবার দ্রুত পচে যায় এবং তাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, যা ফুড পয়জনিং এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ফ্রিজে কোন জিনিসগুলো রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, দই, পনির এবং ক্রিম-এর মতো দুগ্ধজাত পণ্য খুব দ্রুত নষ্ট হতে পারে। ফ্রিজের তাপমাত্রা ওঠানামা করলে এগুলোতে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, যা পেটের সমস্যা, বমি, ডায়রিয়া বা ফুড পয়জনিং-এর ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, রান্না করা খাবার, বিশেষ করে ডাল, সবজি, ভাত এবং ঝোলযুক্ত আইটেমগুলো সঠিক তাপমাত্রা ছাড়া ফ্রিজে বেশি সময় থাকলে দ্রুত পচে যায়, তাদের রঙ, স্বাদ এবং গন্ধ পরিবর্তন হয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কাঁচা মাংস এবং মাছ তাপমাত্রার পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না। এগুলোতে স্যালমোনেলা বা ই-কোলাই-এর মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ডিমও যদিও ঘরের তাপমাত্রায় কিছু সময় নিরাপদ থাকে, কিন্তু যদি ফ্রিজে রেখে দেন এবং ফ্রিজ বারবার গরম-ঠান্ডা হয়, তাহলে ডিমের উপরিভাগে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে এবং ডিমের ভেতরেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। সবশেষে, কাটা ফল এবং সবজি কাটার পর তাদের সতেজতা দ্রুত কমে যায়। ফ্রিজে সঠিক তাপমাত্রায় না রাখলে এগুলো দ্রুত পচে যায় এবং ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে। দীর্ঘ বা ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।