মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। তাঁর এই আকস্মিক পদত্যাগ ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। যদিও এই পদে তাঁর মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত, মাস্ক একদিন আগেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই তিনি এই খবর নিশ্চিত করেছেন, যা মার্কিন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

মাস্ক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “মার্কিন সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে।” তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য’ ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (DOGE)-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে। মাস্কের এই মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক দূরত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে নবগঠিত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের’ (DOGE) দায়িত্ব দেন। এই দপ্তরটির প্রধান কাজ ছিল মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার এবং খরচ কমানো। তবে, ৬ মার্চ একটি ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন যে DOGE-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও মাস্ক নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, তাঁর ভূমিকা হবে কেবল পর্যবেক্ষকের। এরপর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্বের জল্পনা শুরু হয়, যা তাঁর এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আরও স্পষ্ট হলো।