ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় হজ বা ওমরাহ তীর্থযাত্রার সময় এক মুসলিম তরুণীর যৌন নির্যাতনের ঘটনা গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আরও হৃদয়বিদারক হলো, ভুক্তভোগীর পরিবার এই ঘটনাকে “স্বাভাবিক” বলে উড়িয়ে দিয়েছে, যা নীরবতা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে। হজের মতো আধ্যাত্মিক যাত্রা, যা নম্রতা ও ঐক্যের প্রতীক, এমন ঘটনায় কলঙ্কিত হওয়া ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

যৌন নির্যাতন বিশ্বব্যাপী সমস্যা, এমনকি পবিত্র স্থানেও এর উপস্থিতি মানুষের অসদাচরণ থেকে কোনো স্থানের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ। পরিবারের উদাসীনতা এই ট্র্যাজেডিকে আরও জটিল করে, কারণ এটি ভুক্তভোগীদের কণ্ঠরোধ করে এবং ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করে। ইসলাম মর্যাদা ও নারী সুরক্ষার উপর জোর দিলেও, এই ঘটনা পবিত্র স্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি তুলে ধরে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের উচিত উন্নত ভিড় ব্যবস্থাপনা, কঠোর নিরাপত্তা ও সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভুক্তভোগীদের সমর্থন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। কাবার পবিত্রতা রক্ষায় এই ঘটনাকে উপেক্ষা নয়, বরং সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে তীর্থযাত্রীরা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।

Muslim girl goes on pilgrimage to the Kaaba, the holiest place in Islam, and is sexually assaulted.

When she complains to her family, they brush it off: “Don’t worry, this is normal here”.

Is this how women are treated at their holiest place? pic.twitter.com/76tJPhJ1Rx

— Dr. Maalouf ‏ (@realMaalouf) May 29, 2025