আপনার সঙ্গীর বন্ধুর কারণে আপনি চিন্তিত? মনোবিদরা কী বললেন জানুন

ভালোবাসার সম্পর্কে ঈর্ষা একটি সাধারণ মানবিক অনুভূতি, যা কমবেশি সবার মধ্যেই দেখা যায়। প্রিয়জনকে হারানোর ভয় থেকেই এই অনুভূতির জন্ম হয়, বিশেষত যখন সঙ্গী বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে বেশি মেলামেশা করেন। ভারতীয় সমাজে, যেখানে সম্পর্কগুলো প্রায়শই গভীর আবেগ এবং প্রত্যাশার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, সেখানে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। পুরুষ এবং নারী উভয়েই তাদের সঙ্গীকে বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে দেখলে ঈর্ষান্বিত হতে পারেন। এই দৃশ্য শুধু চলচ্চিত্র বা উপন্যাসের পাতায় নয়, বাস্তব জীবনেও হরহামেশাই দেখা যায়, যা সম্পর্কের জটিলতা আরও বাড়িয়ে তোলে।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি সমীক্ষা এই সামাজিক বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীরা তাদের স্বামীর নারী বন্ধুকে নিয়ে বেশি ঈর্ষান্বিত হন। বিশেষ করে যদি সেই নারী বন্ধু দেখতে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয় হন, তাহলে নারীদের মধ্যে এই উদ্বেগ আরও বাড়ে। তাদের মূল চিন্তা থাকে যে স্বামী অন্য কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন কিনা। তবে পুরুষরাও পিছিয়ে নেই; স্ত্রীর কোনো সুদর্শন পুরুষ বন্ধু থাকলে তারাও ঈর্ষান্বিত হন এবং চিন্তায় পড়েন। এটি মূলত মস্তিষ্কের সিঙ্গুলেট কর্টেক্স এবং ল্যাটেরাল সেপ্টাম অংশের কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা ঈর্ষান্বিত অনুভূতিকে উদ্দীপিত করে। ভারতীয় প্রেক্ষাপটে, যেখানে পারিবারিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক সম্মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এই ধরনের অনুভূতিগুলো সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বা ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং খোলামেলা আলোচনা এই ধরনের পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে।