জর্ডানের রাজবংশ কি সত্যিই হজরত মুহাম্মদের বংশধর? জানলে চমকে যাবেন!

মধ্যপ্রাচ্যের হৃদয়ে অবস্থিত জর্ডান একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যার রাজধানী আম্মান। এই দেশের সরকারি নাম হাশেমাইট কিংডম অফ জর্ডান। মাত্র ৮৯,৩৪২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি উত্তরে সিরিয়া, উত্তর-পূর্বে ইরাক, পশ্চিমে ইজরায়েল এবং পূর্ব ও দক্ষিণে সৌদি আরব দ্বারা বেষ্টিত। জর্ডানের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর জর্ডান ট্রেইল, যেখানে ৪২১ মাইল পথ পায়ে হেঁটে উত্তর থেকে দক্ষিণে ভ্রমণ করা যায়। এই যাত্রা সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৪০ দিন সময় লাগে। বেশিরভাগ মরু ও বালুকাময় এই দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
জর্ডানের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বাইবেলের পাতায় উল্লিখিত। এখানকার প্রাচীন শহর পেত্রা, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি, ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত নাবাতীয় রাজ্যের রাজধানী ছিল। আম্মান, জর্ডানের রাজধানী, ১৩শ শতাব্দী খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মানুষের বসবাসের সাক্ষী। এই শহরে হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আজও বিদ্যমান। জর্ডানের প্রাকৃতিক দৃশ্য হলিউডের বহু চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে, যা এর দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপের প্রমাণ। দেশটির প্রতিটি শহরে প্রাচীন ইমারত ও ইতিহাসের ছোঁয়া রয়েছে।
জর্ডানের ৯৩ শতাংশ মানুষ সুন্নি মুসলিম, ৬ শতাংশ খ্রিস্টান এবং বাকি ১ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এখানকার মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং তাদের রাজা, কিং আব্দুল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। হাশেমাইট রাজবংশ, যারা নিজেদের হজরত মুহাম্মদের পিতামহ হাশেমের বংশধর বলে দাবি করে, জর্ডানে বংশপরম্পরায় শাসন করে আসছে। জর্ডানের সংস্কৃতিতে খাদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ; এখানকার মানুষ মাংসাহারী এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। গ্রিন টি এখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জর্ডানের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য এটিকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে।