মেয়েকে প্রথম দেখেই সন্দেহ স্বামীর- করলেন DNA টেস্ট, ফলাফল সবাইকে হতবাক করেছে!

মেয়েকে প্রথম দেখেই সন্দেহ স্বামীর- করলেন DNA টেস্ট, ফলাফল সবাইকে হতবাক করেছে!

বাবা-মা হওয়ার অনুভূতি প্রতিটি দম্পতির জীবনে অত্যন্ত মূল্যবান। সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে, তার গায়ের রং কেমন হবে, চুল বা চোখের রং কী হবে, এগুলোর ওপর বাবা-মায়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যদিও বাবা-মা বা দাদা-দাদির জিনগত বৈশিষ্ট্য সন্তানের মধ্যে আসতে পারে, তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা পূর্বপুরুষদের বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ পেতে পারে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু লোক এই বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বোঝেন না। যখন তাদের সন্তান দেখতে তাদের মতো হয় না, তখন তারা অযথা স্ত্রীকে সন্দেহ করতে শুরু করে।

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। এক দম্পতির বিয়ের দুই বছর পর একটি মেয়ে সন্তান জন্মায়। ডেলিভারির পর স্বামী যখন প্রথমবার মেয়েকে দেখেন, তার চুল সাদা এবং চোখ হালকা নীল দেখে তিনি চমকে ওঠেন। কারণ স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই চুল ও চোখ বাদামী রঙের। এই দৃশ্য দেখে স্বামী তৎক্ষণাৎ ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং স্ত্রীকে হুমকি দেন যে, যদি ডিএনএ পরীক্ষা না করানো হয়, তাহলে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ করবেন। বাধ্য হয়ে স্ত্রী রাজি হন।

ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে স্বামী সম্পূর্ণ হতবাক হয়ে যান। রিপোর্টে স্পষ্ট হয় যে সন্তানটি তারই রক্তের সম্পর্কীয়। ফলাফল দেখে স্বামী নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হন। স্ত্রী তখন হাসি ধরে রাখতে না পেরে বলেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম!” এতে স্বামী রেগে গিয়ে স্ত্রীর ওপর চিৎকার শুরু করেন। পরে তিনি মন শান্ত করতে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। এরপর শাশুড়ি ফোন করে পুত্রবধূকে অপমান করার জন্য বকাবকি করেন এবং দাবি করেন যে তার হাসি স্বামীকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *