গ্রীষ্মকালে এই ৩টি কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, আপনি কি তাদের মধ্যে একজন?

গরম দুপুর হোক বা আর্দ্র রাত, এই ঋতুতে কেবল ঘাম হয় না, বরং শরীরের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। প্রায়শই মানুষ মনে করে যে শীতকালে হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে গ্রীষ্মে হার্টের ঝুঁকিও সমানভাবে গুরুতর হতে পারে?
অনেক সময় আমরা আমাদের ছোট ছোট দৈনন্দিন অভ্যাসগুলিতে মনোযোগ দিতে পারি না, যা গ্রীষ্মে হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।
শরীরে জলশূন্যতা
গ্রীষ্মে আমরা প্রচুর ঘাম পাই, যার কারণে শরীর থেকে লবণ এবং জলর পরিমাণ দ্রুত কমতে শুরু করে। যখন শরীরে জলর অভাব হয়, তখন রক্ত ঘন হয়ে যায় এবং রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
সারাদিন প্রচুর জল পান করুন, বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে যাচ্ছেন
নারকেল জল, লেবু জল এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ করুন
অতিরিক্ত তাপের সমস্যা
যখন শরীর ক্রমাগত তীব্র সূর্যালোক এবং তাপের সংস্পর্শে থাকে, তখন সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে এবং রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে বা বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতি হৃদপিণ্ডের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য।
শুধুমাত্র সকালে বা সন্ধ্যায় বাইরে বেরোন, বিকেলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন
হালকা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
যদি ঘরে বা অফিসে এসি না থাকে, তাহলে ঠান্ডা জায়গায় থাকুন এবং ফ্যান ব্যবহার করুন
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম
গ্রীষ্মে, অনেকেই ওজন কমানোর জন্য ভোরে বা বিকেলে রোদে ব্যায়াম শুরু করেন। এই সময়ে শরীর ইতিমধ্যেই গরম থাকে এবং যখন আমরা তার উপর বেশি চাপ দেই, তখন এটি হৃদয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভোরে বা সন্ধ্যায়, যখন তাপমাত্রা কম থাকে, তখন ব্যায়ামের সময় বিরতি নিন
ব্যায়াম করার সময় বিরতি নিন এবং জল পান করতে থাকুন
শরীরের ক্লান্তি উপেক্ষা করবেন না, এটি হার্টের উপর বেশি চাপের লক্ষণ হতে পারে।