নৌ-যুদ্ধজাহাজের গোপন তথ্য ফাঁস! পাক গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়লো ইঞ্জিনিয়ার

মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থায় কর্মরত ২৭ বছরের জুনিয়র সার্ভিস ইsőজিনিয়ার রবি মুরলীধর ভার্মাকে সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) গ্রেপ্তার করেছে, কারণ তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের (পিআইও) কাছে ১৪টি ভারতীয় নৌ-যুদ্ধজাহাজের সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ। ভার্মা, যিনি ক্রাসনি ডিফেন্স টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডে কাজ করতেন, মাজাগাঁও ডক ও নেভাল ডকইয়ার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জাহাজ মেরামতের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে “প্রীতি জয়সওয়াল” ছদ্মনামে একজন পিআইওর সাথে যোগাযোগ করতেন, যিনি তার ফোনের পরিচিতিতে “আকৃতি কলেজ ফ্রেন্ড” হিসেবে সংরক্ষিত ছিলেন। নৌ-ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ভার্মা শেয়ার করা পাঁচটি জাহাজের অবস্থান সঠিক এবং “সীমাবদ্ধ তথ্য” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ। এটিএস ভিডিও, অডিও এবং নথিপত্র উদ্ধার করেছে, যা এই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দেয়।
ভার্মার সাথে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ফেসবুকে “প্রীতি”র সাথে যোগাযোগ শুরু হয়, যা পরে হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। পিআইও তাকে নৌবাহিনীর তথ্য সংগ্রহে প্ররোচিত করে, দাবি করে এটি একটি গবেষণা প্রকল্পের জন্য। ১২ মার্চ, ২০২৫-এ ভার্মা ১৪টি জাহাজের অবস্থানের নোটবুকের ছবি পাঠান। এটিএস ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্তে অন্যান্য জড়িত ব্যক্তি এবং ভার্মার উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।