হিমবাহের সংকট জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে, ভারতের সতর্কবার্তা বিশ্ব সম্মেলনে

হিমবাহের সংকট জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে, ভারতের সতর্কবার্তা বিশ্ব সম্মেলনে

তাজিকিস্তানের দুশানবেতে হিমবাহ সংরক্ষণ বিষয়ক এক উচ্চ-পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং হিমবাহের দ্রুত পশ্চাদপসরণের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এটি কেবল একটি সতর্কবার্তা নয়, বরং জল সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য এবং কোটি কোটি মানুষের জীবিকার উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে হিমালয়ের মতো পার্বত্য অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি। ভারত এই সমস্যা মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং হিমালয় বাস্তুতন্ত্রের সাথে ভারতের গভীর সংযোগের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সিং ভারতের চলমান বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে হিমবাহ পর্যবেক্ষণ এবং জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। তিনি ন্যাশনাল মিশন ফর সাসটেইনিং দ্য হিমালয়ান ইকোসিস্টেম (NMSHE) এবং ক্রায়োস্ফিয়ার ও জলবায়ু পরিবর্তন অধ্যয়ন কেন্দ্র (Centre for Cryosphere and Climate Change Studies) প্রতিষ্ঠার কথা জানান। এছাড়াও, ইসরো (ISRO) দ্বারা পরিচালিত রিমোট সেন্সিং ও জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) প্রযুক্তির মাধ্যমে হিমবাহের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ভারত দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে হিমালয় অঞ্চলে উন্নত আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণ বন্যা (GLOF) ঝুঁকি ম্যাপিং জোরদার করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে সিং বলেন, ডেটা আদান-প্রদান এবং পার্বত্য বাস্তুতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের দায়বদ্ধতা এবং কমন বাট ডিফারেনসিয়েটেড রেসপনসিবিলিটিস অ্যান্ড রেসপেক্টিভ ক্যাপাবিলিটিস (CBDR-RC) নীতির প্রতিশ্রুতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *