মানসিক ক্লান্তি মাপবে নতুন স্মার্ট ট্যাটু, দাম মাত্র ১৭ হাজার টাকা!

ক্লান্তির অনুভব শুধু শরীরেই নয়, মস্তিষ্কেও হয়, যা সহজে ধরা পড়ে না। এবার বিজ্ঞানীরা এমন এক ইলেকট্রনিক ট্যাটু আবিষ্কার করেছেন, যা মস্তিষ্কের ক্লান্তি পরিমাপ করতে সক্ষম। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার মানসিক অবসাদ নির্ণয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং পেশাগত ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ট্রাক চালক ও দীর্ঘক্ষণ কাজ করা কর্মীদের সুরক্ষায় এটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে কর্মীরা কখন মানসিকভাবে ক্লান্ত হচ্ছেন, তা সহজেই জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী বিরতি নিয়ে তারা নিজেদের কর্মদক্ষতা বজায় রাখতে পারবেন।
এই উদ্ভাবনী ইলেকট্রনিক ট্যাটু কপালে লাগানো হয় এবং মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করে। এটি ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফি (EEG) এবং ইলেকট্রোওকুলোগ্রাফি (EOG) নামক পদ্ধতির মাধ্যমে কাজ করে, যা চোখের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ন্যানশু লু-এর নেতৃত্বে গবেষকরা এটি তৈরি করেছেন। এই ট্যাটু স্থায়ী নয়, তবে এটি মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম কার্যকলাপ নিরীক্ষণে যথেষ্ট কার্যকর। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, যখন একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকেন, তখন তিনি সবচেয়ে ভালো কাজ করেন, যা তারা ‘গোল্ডিলক্স জোন’ বলে অভিহিত করেছেন।
এই নতুন ট্যাটু প্রযুক্তির খরচও সাশ্রয়ী। এর ব্যাটারি প্যাক এবং চিপের দাম প্রায় ১৭ হাজার টাকা, যেখানে ডিসপোজেবল সেন্সরগুলি প্রায় ১,৭০০ টাকায় পাওয়া যায়। এর আগে মানসিক ক্লান্তি পরিমাপের জন্য নাসা টাস্ক লোড ইনডেক্স-এর মতো দীর্ঘ সমীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো, যা ছিল সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সেখানে, ঐতিহ্যবাহী ইইজি সরঞ্জামের দাম প্রায় ১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারত। এই ইলেকট্রনিক ট্যাটু সেই জটিল প্রক্রিয়াকে সহজ ও সুলভ করে তুলেছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের নজরদারিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।