মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে শুটিং কোচ মহসিন খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে আরও একটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক মহিলা মহসিনের বিরুদ্ধে তন্ত্র-মন্ত্রের মাধ্যমে প্রতারণা এবং লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। এই নিয়ে মহসিন খানের বিরুদ্ধে মোট সাতটি এফআইআর দায়ের হলো, যা তার উপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।

ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ, মহসিন তাকে শুটিং রেঞ্জের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালের জুনে, যখন মহিলাটি ড্রিম অলিম্পিক শুটিং অ্যাকাডেমিতে কাজের জন্য মহসিনের সাথে যোগাযোগ করেন। মহসিন তাকে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি শুটিং শেখানোর প্রস্তাব দেয় এবং একটি শুটিং রেঞ্জ খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নেয়। পরবর্তীতে, মহসিন তাকে এক মহিলা তান্ত্রিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, যে জিন তাড়ানোর নামে আরও অর্থ দাবি করে।

মহসিন ও ওই তান্ত্রিকের নির্দেশনায় মহিলাকে ‘জিন খুশি’ করার জন্য লাল শাড়ি পরে একটি নির্জন ফার্মহাউসে যেতে বলা হয়। সেখানে তার উপর বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র প্রয়োগ করা হয় এবং মিথ্যা ভিডিও দেখিয়ে তাকে প্রতারিত করা হয়। অবশেষে, যখন মহিলা তার টাকা ফেরত চান, তখন মহসিন তাকে উল্টো ১৩ লাখ টাকা ফেরত দিতে বলে। পুলিশ জানিয়েছে, মহসিনের বিরুদ্ধে আরও অনেক মহিলা অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।