ধর্মের নামে দুর্বৃত্তি! গাজিয়াবাদের আশ্রমে ধর্ষণের নৃশংস কাণ্ড

গাজিয়াবাদের কৌশাম্বী থানা এলাকায় অবস্থিত গুরুকুল শান্তিধাম আশ্রমে এক মহিলা সাধ্বীর ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, আশ্রমের এক সেবিকা এবং মূল অভিযুক্ত গোকুল এই অপকর্ম ঘটিয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আশ্রমের ৬০০ বছর বয়সী পরিচালিকা দিব্য যোগ মায়া সরস্বতী এবং তার সহকারী শবনমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, মূল অভিযুক্ত গোকুল এখনও পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী সাধ্বীর অভিযোগ, আশ্রমের পরিচালিকা এবং এক মহিলা কর্মী তাকে প্রথমে কৌশলে কোল্ড ড্রিঙ্কে মাদক মিশিয়ে পান করান। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণের জন্য গোকুলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জ্ঞান ফেরার পর প্রতিবাদ করলে তিন অভিযুক্তই তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে। এই গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং পলাতক অভিযুক্ত গোকুলের খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে।
ডিসিজি ট্রান্স হিন্দান নিমিশ পাটিলের তত্ত্বাবধানে পুলিশ অভিযুক্তদের সম্ভাব্য সব আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে। গুরুকুল শান্তিধাম, যা দিল্লীর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত এবং যেখানে বহু মানুষ যোগাভ্যাস ও শান্তিময় জীবন যাপনের জন্য আসেন, এই ঘটনায় সেখানকার সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ঘটনার পর আশ্রমের নিরাপত্তা এবং নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।