ভারতের বন্ধু হয়ে বাজিমাত, এক বছরে খরচ ১.২৮ লাখ কোটি টাকা

ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। গত সাত বছর ধরে ভারত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (FDI) জন্য সিঙ্গাপুরের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। গত অর্থবর্ষে সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে প্রায় $১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছরের $১১.৭৭ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় $৩ বিলিয়ন ডলার বেশি। এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আমেরিকা ও জাপানের মতো দেশের বিনিয়োগের চেয়ে ৩ থেকে ৫ গুণ বেশি, যা ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উপর সিঙ্গাপুরের আস্থার প্রতিফলন।
সিঙ্গাপুর দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বৃহত্তম এফডিআই উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালে মোট এফডিআই প্রবাহ $৮১.০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের অবদান ছিল প্রায় ১৯ শতাংশ। এই ধারা ২০১৮-১৯ সাল থেকে অব্যাহত রয়েছে, যা সিঙ্গাপুরকে ভারতের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিঙ্গাপুরের শক্তিশালী আর্থিক কাঠামো, অনুকূল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রবেশদ্বার হিসেবে এর ভূমিকা ভারতের জন্য একটি স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী বিদেশি বিনিয়োগের উৎস তৈরি করেছে। ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার জানান, অস্থির পুঁজিবাজার সত্ত্বেও ভারত উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। সিঙ্গাপুর একটি নিম্ন-কর অঞ্চল এবং এর শক্তিশালী আইনি কাঠামো এশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত আর্থিক প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। উপরন্তু, ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সিঙ্গাপুরের সংস্থাগুলোকে ভারতে বিনিয়োগ করতে এবং তাদের করের বোঝা কমাতে সহায়তা করে।