বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জন্য কঠোর আইন, মৃত্যু দণ্ডের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) এর প্রসিকিউশন পক্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে। গত জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান দমনের সময় সংঘটিত নৃশংসতার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার প্রসিকিউশন পক্ষ এই অভিযোগপত্র দাখিল করে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এই অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকেও সহ-অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এর সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। ১২ মে তদন্তকারীরা একটি প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন, যেখানে শেখ হাসিনাকে জুলাই ও আগস্ট মাসের দেশব্যাপী সহিংসতা, পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যামূলক ঘটনার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, যে ট্রাইব্যুনালের অধীনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছিল। এর আগেও এই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করে অনেককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ফেরত চাইলেও ভারত এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। শেখ হাসিনার সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় ছিল, তবে নতুন ইউনূস সরকারের চীন ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফাটল সৃষ্টি করেছে।