ভারতের ‘চিকেন নেক’ নিশানা করতে চিনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছেন ইউনূস

ভারতের ‘চিকেন নেক’ নিশানা করতে চিনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছেন ইউনূস

বাংলাদেশের লালমনিরহাটে অবস্থিত একটি পুরনো বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে ভারত-বিরোধী এক বৃহত্তর চক্রান্তের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত ‘চক্রব্যূহ’ তৈরির চেষ্টা করছেন। এই ষড়যন্ত্রের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো লালমনিরহাট বিমানবন্দর, যা ভারতের “চিকেন নেক” নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডর থেকে মাত্র ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চিনের আর্থিক সহায়তায় এই বিমানবন্দরটিকে পুনরায় সক্রিয় করার পেছনে গভীর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ ড. ইউনূসের চিন সফরের সময় ২ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ নিয়ে ফিরে আসার পর থেকেই এই সন্দেহের সূত্রপাত। অভিযোগ উঠেছে যে, এই আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে ইউনূস চিনকে বাংলাদেশের বিমানবন্দর, বন্দর এমনকি ভূমিও বন্ধক রেখেছেন। লালমনিরহাট বিমানবন্দর, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল এবং ১৯৫৮ সাল থেকে বন্ধ ছিল, সেটি এখন চিনের সাহায্যে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এর অবস্থান এবং সম্ভাব্য সামরিক ব্যবহার নিয়ে ভারতের নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ এই বিমানবন্দরটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী সংকীর্ণ করিডরের জন্য হুমকি হতে পারে।

যদিও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এটিকে শুধুমাত্র একটি বেসামরিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নয়নের কথা বলছে, তবে বিমানবন্দরের কৌশলগত অবস্থান, রানওয়ের দৈর্ঘ্য এবং সেখানে একটি বিমানবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ভারতের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিমানবন্দরটিকে সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স, ড্রোন অপারেশন এবং সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনা চলছে, যা ভারতের উপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। তবে ইউনূস ও জিনপিংয়ের এই সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ভারতও প্রস্তুত। ত্রিপুরায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দরকে পুনরায় সক্রিয় করার কাজ শুরু হয়েছে, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং এই অঞ্চলের সুরক্ষায় ভারতের পাল্টা কৌশল হিসেবে কাজ করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *