টাটা আনলো এক দুর্দান্ত ই-কার, ১৫ মিনিটে চার্জে ছুটবে ২৫০ কিমি!

টাটা মোটরস ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে তাদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে। এতদিন ধরে এমজি মোটর এবং হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে তাদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল। এবার সেই প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে টাটা নিয়ে এসেছে তাদের নতুন ইলেকট্রিক কার টাটা হ্যারিয়ার ইভি। কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই গাড়িতে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অনেক দিন ধরেই এই ফুল সাইজ এসইউভির ইলেকট্রিক ভার্সনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। এই বছরের জানুয়ারিতে অটো এক্সপোতে টাটা এই গাড়িটি উন্মোচন করেছিল। তখন থেকেই এর লঞ্চের উন্মাদনা আরও বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে এই গাড়ি বাজারে এসেছে এবং এতে অনেক চমৎকার ফিচার দেওয়া হয়েছে।
১৫ মিনিটের চার্জে ২৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ
টাটা হ্যারিয়ার ইভি শুধু একটি ফুল সাইজ ইলেকট্রিক এসইউভি নয়। এর অফ-রোডিং ক্ষমতা এটিকে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম। এই গাড়িটি পিওর ইভি আর্কিটেকচারে তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, এতে QWD ডুয়াল মোটর সেটআপ দেওয়া হয়েছে, যা এটিকে রিয়ার হুইল ড্রাইভ থেকে অল হুইল ড্রাইভ পর্যন্ত সক্ষম করে তোলে।
এই গাড়িতে আপনি ১১৬ কিলোওয়াট এবং ১৭৫ কিলোওয়াটের পাওয়ার অপশন পাবেন। এই গাড়ির পিক টর্ক হবে ৫০৪ নিউটন মিটার পর্যন্ত। এতে ৬টি ড্রাইভ মোড রয়েছে। এই গাড়িটি মাত্র ৬.৩ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি অর্জন করতে পারবে। এর ফাস্ট চার্জিং ক্ষমতা ১৫ মিনিটের চার্জে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়। এর সম্পূর্ণ রেঞ্জ হবে ৫৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
৭টি এয়ারব্যাগ, দারুণ নিরাপত্তা, বরফেও ছুটবে এই গাড়ি
এই গাড়ির ৬টি ড্রাইভ মোড এটিকে ঘাস, বরফ, কাদা, পাথর এবং বালিতে চালানোর উপযোগী করে তোলে। এছাড়াও, এতে ৭টি এয়ারব্যাগ রয়েছে। এর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলিও অসাধারণ। এই গাড়িতে একটি ই-ভ্যালেট অপশন দেওয়া হয়েছে, যা গাড়িটিকে নিজে থেকে পার্ক করতে এবং রিভার্স করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এর সামন মোড আপনাকে রিমোটলি ফরওয়ার্ড বা রিভার্স করার সুবিধা দেয়।
এছাড়াও, এডিএএস লেভেল-২, অল-হুইল ডিস্ক ব্রেক, পার্কিং সেন্সর, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট, হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল, টায়ার প্রেসার মনিটরিং এবং অটো হেডল্যাম্পের মতো ফিচারও রয়েছে। এই গাড়িতে ৫৪০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়, যা ৩৬০ ডিগ্রি সার্উন্ড ভিউ সিস্টেম এবং ট্রান্সপারেন্ট মোডকে একত্রিত করে। এছাড়াও, ব্লাইন্ড স্পট ভিউ মনিটর, এইচডি রিয়ার ভিউ মিররের মতো ফিচারও এই গাড়িতে বিদ্যমান।
গাড়িতেই থিয়েটারের মজা
এই গাড়িতে প্রথমবারের মতো স্যামসাং নিও কিউএলইডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ১৪.৫৩ ইঞ্চির হারমান ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এটি আপনাকে গাড়িতেই থিয়েটারের মতো অভিজ্ঞতা দেবে। এই গাড়িতে জেবিএল-এর ১০টি স্পিকার রয়েছে, যা ডলবি অ্যাটমস সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত।
এছাড়াও, এই গাড়ি ভয়েস অ্যাসিস্টেড প্যানোরামিক সানরুফ, মাল্টি কালার অ্যাম্বিয়েন্স লাইট, ভেহিকেল টু লোড (ইনভার্টারের মতো ব্যবহারযোগ্য) এবং ভেহিকেল টু ভেহিকেল (এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়িকে চার্জ করা) মোড সহ আসে। এই গাড়িতে ৫০২ লিটার বুট স্পেস রয়েছে যা ৯৯৯ লিটার পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এছাড়াও, সামনের দিকে ৩৫ লিটারের ফ্রাঙ্ক স্টোরেজ রয়েছে।
এই গাড়িটি নৈনিতাল নকচার্ন, এমপাওয়ার্ড অক্সাইড, প্রিস্টিন হোয়াইট এবং পিওর গ্রে রঙে বাজারে আনা হয়েছে। এছাড়াও, এই গাড়িটি স্টিলথ এডিশনেও পাওয়া যাবে।