নারীর অভাব নয়, পাত্রের আকাল ব্রাজিলের এই গ্রামে কুমারীত্ব ঘোচাতে আকুল মেয়েরা

দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বিয়ের জন্য হাহাকার করছেন শত শত সুন্দরী তরুণী। অপ্সরাসম রূপবতী, শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী এই নারীরা পাত্রের অভাবে অবিবাহিত রয়ে গেছেন। নোইভা ডো করডেরিয়ো নামের এই গ্রামে প্রায় ৬০০ কুমারী মেয়ে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩০০ জন ইতোমধ্যেই পাত্রের সন্ধানে নেমেছেন। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে—বিয়ে করে পাত্রকে এই গ্রামেই থাকতে হবে। এই শর্তের কারণেই অধিকাংশ মেয়ে অবিবাহিত রয়ে গেছেন।
এই গ্রামের একটি বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। ১৮৯০ সালে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয় মারিয়া সেলেনা নামের এক তরুণীকে। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ১৯৯১ সালে নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামটি প্রতিষ্ঠা করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে এই গ্রামের নারীরা নিজেদের কুমারিত্ব ঘোচাতে এবং নারীত্বের স্বাদ পেতে অনেক সময় বিবাহিত পুরুষদেরও বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান, কিন্তু নিজেদের গ্রাম ছাড়তে তারা নারাজ। ফলে স্বামী খুঁজে পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে এই গ্রামের কুমারী নারীদের মধ্যে।