ইউক্রেনে ধ্বংসের সাইরেন! ট্রাম্পকে পুতিনের ভয়ঙ্কর সতর্কতা, বিশ্বজুড়ে তোলপাড়

ইউক্রেন কর্তৃক রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলার পর থেকেই এটি নিশ্চিত ছিল যে ভ্লাদিমির পুতিন এর কড়া জবাব দেবেন। এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ফোনালাপে এটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দুই নেতার মধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা হয়। ট্রাম্প পুতিনকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, পুতিন তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, বিমান ঘাঁটিতে হামলার জবাব এতটাই কঠোর হবে যা বিশ্ব মনে রাখবে। পুতিন এও বলেছেন যে, ইউক্রেন দ্বারা রাশিয়ার সীমান্তের অভ্যন্তরে চালানো হামলা এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এই কথোপকথনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হলেও, মূল বিষয় ছিল ইউক্রেন ইস্যু।

গত সপ্তাহে ইউক্রেন রাশিয়ার প্রধান সামরিক বিমান ঘাঁটিগুলোতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, যার মধ্যে রাজধানী মস্কোর আশেপাশের ठिकाণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাশিয়ান গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলায় বেশ কয়েকটি বিমান এবং জ্বালানি সংরক্ষণ ট্যাংকের ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেন এই হামলাগুলোকে তাদের নিরাপত্তা কৌশলের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এগুলোকে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্প মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, পুতিনকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে, এখন আলোচনার সময় পেরিয়ে গেছে, এখন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা আর সহ্য করা হবে না। ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন যে, এই সংঘাত এখন আরও বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে।

ইউক্রেনকে আমেরিকা এবং ন্যাটোর সামরিক সহায়তা রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াকে আরও তীব্র করে তুলেছে। পুতিনের খোলাখুলি হুমকির পর ইউক্রেনের উপর বড় আকারের বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। ইউরোপীয় দেশগুলো এবং জাতিসংঘ এই পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে। রাশিয়া এখন পর্যন্ত কোনো সরাসরি প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়নি, তবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ছবিগুলোতে সামরিক কার্যকলাপের গতি বৃদ্ধি, সৈন্যদের চলাচল বৃদ্ধি এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মোতায়েন দেখা যাচ্ছে, যা থেকে স্পষ্ট যে ক্রেমলিন কোনো বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুতিনের দেওয়া বার্তাটি কেবল একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়, বরং আসন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতির একটি গুরুতর সতর্কতা হতে পারে। ইউক্রেনের জন্য এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই হুমকির পর থেকে পুরো বিশ্ব ক্রেমলিনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রেখেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *