বিদেশে ছিল ছেলে, পেছনে পুত্রবধূর সাথে বাবার ঘৃণ্য কাজ—সামনে এল হাড়হিম করা সত্য!

বিদেশে ছিল ছেলে, পেছনে পুত্রবধূর সাথে বাবার ঘৃণ্য কাজ—সামনে এল হাড়হিম করা সত্য!

এক বাবা নিজের পুত্রবধূর সঙ্গে একাধিকবার পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন। স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে শ্বশুর হুমকি দিয়ে নির্যাতিতাকে চুপ থাকতে বাধ্য করেন। সম্প্রতি ছেলের উপর প্রাণঘাতী হামলাও হয়েছে। এই পরিবারের ভেতরে কি লুকিয়ে আছে কোনো ভয়ংকর রহস্য? পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসবে আসল সত্য?

উধম সিং নগরের জসপুর থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছিল, যেখানে এক বাবা তার ছেলের স্ত্রীর সাথে একাধিকবার পাশবিকতা চালান। নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন যে তার স্বামী বিদেশে কাজ করতেন, যার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেন এবং হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করেন।

স্বামীর বিদেশে যাওয়ার পরই শাশুড়ির ভয়ংকর রূপ

নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন যে তার বিয়ে নয় বছর আগে হয়েছিল এবং তাদের দুটি সন্তান আছে। বিয়ের কয়েক মাস পরই তার স্বামী বিদেশে চলে যান। স্বামী বিদেশে থাকার কারণে তিনি শ্বশুরবাড়িতে একা হয়ে পড়েন। এই সময় থেকেই শ্বশুর তার উপর কুনজর দিতে শুরু করেন এবং একাধিকবার অশ্লীল আচরণ করেন। নির্যাতিতা প্রতিবাদ করলে শ্বশুর তাকে হুমকি দেন যে, যদি সে তার কথা না শোনে তবে তাকে সমাজে বদনাম করে দেবেন।

শাশুড়ির অপকর্মে শাশুড়িও চুপ ছিলেন

নির্যাতিতা আরও জানিয়েছিলেন যে শাশুড়ির কাছে অভিযোগ করেও তিনি কোনো সাহায্য পাননি, বরং শাশুড়ি উল্টো তাকে বকাঝকা করে চুপ থাকতে বলেন। ভয় এবং হুমকির কারণে নির্যাতিতা এই বেদনাদায়ক সত্য লুকিয়ে রেখেছিলেন। অভিযুক্ত শ্বশুর একাধিকবার তাকে ভয় দেখিয়ে পাশবিকতা চালান এবং তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যান।

বাবা ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিলেন

কিছু দিন আগে যখন স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরেন, তখন নির্যাতিতা এই বিষয়টি তার কাছে তোলার চেষ্টা করেন। এরপর অভিযুক্ত শ্বশুর স্বামীকে প্রাণঘাতী হুমকি দেন। ভয়ে নির্যাতিতা তার স্বামীর সাথে অন্য কোথাও থাকতে চলে যান, কিন্তু অভিযুক্ত তার পিছু ছাড়েননি।

আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার সময় বাবা ছেলের উপর হামলা করেন

গত ১২ মে (২০২৩ সালের মে মাসের ঘটনা) আত্মীয়ের বাড়িতে একটি দাওয়াতে থাকার সময় অভিযুক্ত শ্বশুর ছেলের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। একই সাথে হুমকি দেন যে, যদি তার কথা না মানা হয় তবে এর চেয়েও খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে। নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, যার পর পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাশবিকতাসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে।

পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

কাশীপুর-জসপুরের সিও দীপক সিং জানিয়েছিলেন যে, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনএস-এর ধারা ৬৪(১) (পাশবিকতা), ১১৫(২), ৩৫১(২) এবং ৩৫২ এর অধীনে রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ দল বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং দোষীকে রেহাই দেওয়া হবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *