পুরীর মন্দিরে কি খুন হয়েছিলেন চৈতন্যদেব? ৫০০ বছর ধরে চাপা রহস্য!

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের অন্তর্ধান নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী ধরে চলে আসা রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ১৫৩৩ সালের ২৯ জুন তিনি পুরীর মন্দিরে গান গাইতে গাইতে প্রবেশ করার পর অলৌকিকভাবে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যান। তবে বহু ঐতিহাসিক ও গবেষক এই ধারণার পরিবর্তে একটি চাঞ্চল্যকর তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, চৈতন্যদেবকে মন্দিরের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছিল এবং তাঁর দেহ সেখানেই সমাধিস্থ করা হয়।
ইতিহাসবিদ দীনেশ সেন তাঁর ‘বৃহৎ বঙ্গ’ গ্রন্থে প্রথম এই হত্যার দাবি করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সেদিন মন্দিরের দরজা মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল এবং পরে পাণ্ডারা ঘোষণা করেন যে মহাপ্রভু স্বর্গে গমন করেছেন ও তাঁর দেহের কোনো চিহ্ন নেই। জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার এবং তাঁর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা পুরীর গোঁড়া পাণ্ডাদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিল, যা এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করা হয়। এমনকি, এই রহস্য উন্মোচনে গিয়ে গবেষক জয়দেব মুখোপাধ্যায়ের রহস্যজনক মৃত্যুও এই তত্ত্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা সরকারি নথিতে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানো হলেও স্থানীয়দের দাবি ছিল এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।