চীনের মহাকাশ আগ্রাসন রুখতে ভারতের পাল্টা জবাব, তৈরি হচ্ছে ‘স্পেস আর্মি’

ভারত ও চীনের মধ্যে স্থলভাগের সংঘাত এখন মহাকাশ যুদ্ধ বা ‘স্পেস ওয়ারফেয়ার’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারত-পাক সংঘাতের সময় চীন কেবল পাকিস্তানকে অস্ত্রই দেয়নি, বরং তাদের অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্স, সার্ভিল্যান্স এবং রিকন (ISR) সহায়তাও প্রদান করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত তাদের সামরিক ও বেসামরিক মহাকাশ সম্পদ একত্রিত করে জবাব দিয়েছে, কিন্তু এই পথ এখনও অনেক দীর্ঘ। ভারতের NVS-02 স্যাটেলাইটের ব্যর্থতা এবং ISRO-এর ১০০তম মিশনের এই ধাক্কা ভারতের মহাকাশ উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে কিছুটা হলেও প্রভাবিত করেছে।
চ্যালেঞ্জ হলো, চীনের কাছে বর্তমানে প্রায় ৫৩৩০টি স্যাটেলাইট রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪০টি রিকনস্যায়েন্স স্যাটেলাইট। এর বিপরীতে ভারতের স্যাটেলাইটের সংখ্যা মাত্র ২১৮টি। চীন গত ডিসেম্বরে ‘ইয়াওগান-৪১’ নামে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গুপ্তচর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, যা ভারত মহাসাগর, তাইওয়ান এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নজর রাখতে সক্ষম। এর মোকাবিলায় ভারত EMISAT, RISAT এবং Kautilya-এর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছে। Defence Space Agency-কে একটি পূর্ণাঙ্গ স্পেস কমান্ডে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে এবং ভারতীয় বিমানবাহিনীর লক্ষ্য আগামী ৭-৮ বছরে ১০০টির বেশি সামরিক স্যাটেলাইট স্থাপন করা। টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেডও তাদের প্রথম সামরিক-গ্রেড স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, যা ভারতের মহাকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও উন্নত করবে।