পাকিস্তানের জল সংকট! ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিতে কঠিন অবস্থান

পাকিস্তান এপ্রিল থেকে ভারতের কাছে একাধিক চিঠি পাঠিয়ে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু ভারত তার অবস্থানে অটল রয়েছে। ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত এই চুক্তি স্থগিত করে, স্পষ্ট করে যে পাকিস্তান যতক্ষণ না “বিশ্বাসযোগ্যভাবে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যান” করে, ততক্ষণ কোনও আলোচনা হবে না। পাকিস্তানের জল সম্পদ সচিব সৈয়দ আলী মুর্তজা চারটি চিঠিতে দাবি করেছেন, ভারত একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করতে পারে না এবং এটি চুক্তির বিধান লঙ্ঘন করে। তবে, ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবশ্রী মুখার্জি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের কারণে চুক্তির সৎ বিশ্বাস লঙ্ঘিত হয়েছে।
১৯৬০ সালের এই চুক্তি সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর ৮০% জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করে, যা তাদের অর্থনীতি ও কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে দেওয়ায় পাকিস্তানের জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। প্রাক্তন জল সম্পদ সচিব শশী শেখর বলেন, পাকিস্তানের মোট দেশজ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ এই জলের উপর নির্ভরশীল, তাই স্থগিতাদেশ তাদের জন্য “গুরুতর” এবং নাগরিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে। পাকিস্তানি নেতারা জলপ্রবাহ হ্রাসকে “যুদ্ধের পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ভারত পূর্বেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল, কিন্তু পহেলগাম হামলা সহনশীলতার সীমা অতিক্রম করেছে।