বিস্ময়কর বাজেট সংকট ভ্যাটিকান সিটিতে, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কি দেউলিয়া হবে

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ ভ্যাটিকান সিটি এক অপ্রত্যাশিত ও বড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। ইউরোপের এই জাঁকজমকপূর্ণ দেশটি, যেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা মাথা নত করেন, সেই ভ্যাটিকান আজ বাজেট ঘাটতিতে ধুঁকছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে ভ্যাটিকানকে তাদের কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার কথাও ভাবতে হচ্ছে। মূলত অনুদান, ভ্যাটিকান জাদুঘরের টিকিট বিক্রি, বিনিয়োগ থেকে আয় এবং রিয়েল এস্টেট থেকে প্রাপ্ত অর্থের ওপর নির্ভরশীল এই দেশের রাজস্ব প্রবাহ কমে যাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে ভ্যাটিকানের আয় ছিল $৮৭.৮ কোটি মার্কিন ডলার, কিন্তু খরচ ছিল তার চেয়ে বেশি।
পোপ লিও ১৪-এর সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভ্যাটিকানকে এই আর্থিক সংকট থেকে টেনে তোলা। ভ্যাটিকান তার নাগরিকদের ওপর কর আরোপ করে না বা বন্ডও জারি করে না। অনুদান, বিশেষ করে ‘পিটার্স পেন্স’ এবং বিশ্বজুড়ে বিশপদের বার্ষিক ফি, আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু এই অনুদানের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুদানের পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ভ্যাটিকানের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের অনুদান কমিয়ে দিচ্ছে। রিয়েল এস্টেট থেকেও আয় সেভাবে বাড়ছে না; ৪,২৪৯টি ইতালীয় এবং ১,২০০টির বেশি আন্তর্জাতিক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও, এর বেশিরভাগই হয় ভ্যাটিকানের নিজস্ব কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয় বা কর্মীদের স্বল্প ভাড়ায় দেওয়া হয়, যার ফলে আয় কম। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভ্যাটিকানের উচিত অব্যবহৃত বা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয়বহুল সম্পত্তিগুলো বিক্রি করে দেওয়া।