সর্বশ্রেষ্ঠ চালকবিহীন মারণাস্ত্র, যা দেখে আমেরিকার সেনাবাহিনীও ভয়ে কাঁপছে!

একবিংশ শতাব্দীর সমরনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে স্বয়ংক্রিয় বা অটোনোমাস অস্ত্র। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের ২২ মে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইউক্রেনের ৪৮০টিরও বেশি ড্রোন মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল ছোট অথচ অত্যন্ত বিপজ্জনক ‘এরোপ্র্যাক্ট এ-২২’ বিমান। এই ড্রোনগুলো দূরনিয়ন্ত্রিত অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত হয়ে কম উচ্চতায় উড়ে বোমা বা অন্যান্য অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ১৪০টি ইরানি শাহেদ ড্রোন দিয়ে কিয়েভে রাশিয়ার হামলার জবাব হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এই যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকা ও চীনের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব সরাসরি অনুপস্থিত থাকলেও, তাদের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় আমেরিকার অবস্থান যাচাইয়ের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। চীনের দ্রুত অগ্রগতি পেন্টাগনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ২০০২ সালে বেইজিং জাতিসংঘে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্ত্রকে তাদের নিরাপত্তা নীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করে।