একুশ তলা থেকে ঝাঁপ তরুণী ইঞ্জিনিয়াররের, সুইসাইড নোটে লেখা ‘আমি আর বাঁচতে চাই না’

মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। হিঞ্জেওয়াড়ির একটি ভবনের ২১ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে। মৃত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের নাম অভিলাষা ভাউসাহেব কোটিম্বির (২৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ মে। জানা গেছে, ভোর চারটায় অভিলাষা হিঞ্জেওয়াড়ির ক্রাউন গ্রিন সোসাইটিতে পৌঁছান, যেখানে তার বন্ধু থাকত। তারপর তিনি ২১ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন।
অভিলাষা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আত্মহত্যার আগে অভিলাষা একটি সুইসাইড নোটও লিখেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “আমি বেঁচে থাকা ছেড়ে দিয়েছি। আমি আর বাঁচতে চাই না।” সেই নোটে তিনি তার বাবা-মা এবং বন্ধুদের কাছে এই গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। অভিলাষা হিঞ্জেওয়াড়ি আইটি পার্কের একটি আইটি কো ম্পা নিতে কাজ করতেন। তার এক বন্ধু ক্রাউন গ্রিন সোসাইটিতে থাকতেন। তিনি তার বন্ধুর বাড়িতে টু-হুইলারে আসতেন।
হতাশার কারণে আত্মহত্যা করেছেন
তিনি লিফটে উঠে ভবনের ২১ তলায় পৌঁছান। সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পাওয়ার সাথে সাথে হিঞ্জেওয়াড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পিম্প্রির যশবন্তরাও চবন মেমোরিয়াল হাসপাতালে (ওয়াইসিএম) মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে যে তার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে যে তিনি হতাশার কারণে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ঘর থেকে এই জিনিসগুলি পেয়েছে
পুলিশ অভিলাশার ঘরে তল্লাশি চালিয়েছে, যেখান থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট, রক্তমাখা ন্যাপকিন, অন্তর্বাস, বালিশের কভার এবং তার মোবাইল ফোন পেয়েছে। হিঞ্জেওয়াড়ি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ষড়যন্ত্র বা হত্যার কোনও চিহ্ন পায়নি। প্রতিটি দিক থেকে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।