দেশের দাতব্য সংস্থা এবং অলাভজনক সংস্থা (NPO)-গুলির বিদেশী তহবিল প্রাপ্তিতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকার বিষয়টি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) তদন্ত করছে। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বা অর্থ পাচারের সম্ভাব্য অপব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে একটি ডেটাবেস প্রস্তুত করার কাজে লেগেছে। CBDT এই সংস্থাগুলির সন্দেহজনক ভূমিকা সম্পর্কে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB), এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) থেকে তথ্য পেয়েছে।

বিদেশী ফান্ডিংয়ে কঠোরতা: CBDT-এর তদন্ত এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ

CBDT এই সংস্থাগুলির তদন্ত তিনটি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাথে যৌথভাবে করছে। এই দাতব্য সংস্থা বা এনপিওগুলি বিপুল পরিমাণে বিদেশী তহবিল পেয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, এজেন্সিগুলির প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই তহবিল তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এসেছে। এই তৃতীয় পক্ষ কে এবং কেন এটি অন্যের মাধ্যমে এই সংস্থাগুলিকে তহবিল সরবরাহ করছে? এর সম্পূর্ণ সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

CBDT জুন মাসের মধ্যে নোটিশ জারি করবে: CBDT এই সংস্থাগুলিকে জুনের শেষ নাগাদ নোটিশ জারি করে জবাব চাইবে। এই সংস্থাগুলি নিবন্ধিত হলেও তাদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বেশি নেই এবং তারা রিটার্নও দাখিল করে না, যার কারণে বোর্ড একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে ডেটাবেসও তৈরি করছে। CBDT এতে বিস্তারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সহায়তা এবং সঠিক তথ্যের জন্য ED ছাড়াও NIA এবং IB-এর সাথে প্রতি তিন মাস অন্তর বৈঠক করবে।

বিদেশী ফান্ডিংয়ে লাগাম টানার প্রস্তুতি: বোর্ডের একজন কর্মকর্তার মতে, বিদেশী তহবিল থেকে অবৈধ কার্যকলাপের উপর লাগাম টানতে এবং ট্যাক্স ছাড়ের অপব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক পর্যালোচনা কার্যকর। এর অধীনে বোর্ড এই সংস্থাগুলির ডেটা সংগ্রহের জন্য আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের জন্য লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে। এতে ৩১ আগস্টের মধ্যে চ্যারিটি কমিশনার, সোসাইটি রেজিস্ট্রার এবং কো ম্পা নি রেজিস্ট্রার থেকে বিবরণ নেওয়া অন্তর্ভুক্ত। তবে বোর্ড কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে বলেছে যে, সঠিক বা সৎ দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।