প্রাচীন ভারতীয় প্রথা যজ্ঞ বা হোমাম এখন শুধু আধ্যাত্মিক আচার নয়, এটি চিকিৎসার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সম্প্রতি, আজমের মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ডক্টর বিজয়লতা রাস্তোগী হোমাম থেকে নিরাময়ের জন্য একটি পেটেন্ট পেয়েছেন। তার বহু বছরের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, যজ্ঞে ব্যবহৃত জাদু-বুট এবং প্রাকৃতিক উপাদান থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া নির্দিষ্ট ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। কিছু বিশেষ হোমাম সামগ্রীতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে সরাসরি নির্মূল করে। এই পেটেন্ট পাওয়ার অর্থ হলো, হোমাম চিকিৎসা পদ্ধতি এখন বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীকে একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয়, যেখানে হোমাম করা হয়। হোমামের ধোঁয়া কক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে রোগী শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেই ধোঁয়া গ্রহণ করেন, যা শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া-র উপর প্রভাব ফেলে। রাজস্থান সরকার এই চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য বাজেটও অনুমোদন করেছে। বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (CSIR) গবেষণায় দেখা গেছে, হোমাম বাতাসের ক্ষতিকারক জীবাণুর সংখ্যা ৯৪% পর্যন্ত কমাতে পারে, যা ঘরবাড়ি ও হাসপাতালে বায়ুবাহিত রোগের সম্ভাবনা কমায়। অর্থাৎ, হোমাম এখন শুধু শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যম নয়, এটি পরিবেশ শুদ্ধ করার একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং চিকিৎসারও একটি মাধ্যম।