অনিল আম্বানির নতুন লক্ষ্য, ৫ লাখ কোটি টাকার বাজার দখলের প্রস্তুতি

ধীরে ধীরে কর্পোরেট জগতে নিজের অবস্থান ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনিল আম্বানি। এবার তিনি প্রতিরক্ষা খাতের ভাগ্য বদলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার সংস্থা রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবসাকে এয়ারক্রাফট অ্যাডভান্সমেন্ট প্রোগ্রামে মনোনিবেশ করে গতি দিতে চাইছে। এর মাধ্যমে আগামী ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৫,০০০ কোটি টাকার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষ বিষয় হলো, অনিল আম্বানির নজর এখন বিশ্বজুড়ে এয়ারক্রাফট অ্যাডভান্সমেন্টের ৫ লাখ কোটি টাকার বাজারের দিকে।1 এই কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার ভারতের প্রথম বেসরকারি সংস্থা হিসেবে মূল প্রস্তুতকারক না হয়েও স্বাধীনভাবে ব্যাপক বিমান আপগ্রেডেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। এই খাতটি ঐতিহ্যগতভাবে সরকারি সংস্থা এবং ওরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারদের (OEMs) দখলে ছিল।
সূত্র অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাভিওনিক্স ফার্ম জেনেসিসের সহযোগিতায় হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ৫৫টি ডর্নিয়ার-২২৮ বিমানের সফল আপগ্রেডেশন সম্পন্ন করেছে। প্রাথমিকভাবে ৩৭টি বিমানের জন্য চুক্তি হয়েছিল, তবে সাফল্যের পর অতিরিক্ত ১৮টি ইউনিটের জন্য পুনরায় অর্ডার পাওয়া গেছে। এই ডর্নিয়ার আপগ্রেড চুক্তির মোট মূল্য ছিল ৩৫০ কোটি টাকা।2 অ্যাডভান্সড ডর্নিয়ার বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনা, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কার্যকর রয়েছে। সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টারগুলির পরিষেবা জীবন সাধারণত ৩০-৪০ বছর হয়, তাই নিয়মিত আপগ্রেডেশন, বিশেষ করে অ্যাভিওনিক্স, মিশন সিস্টেম এবং সুরক্ষা সরঞ্জামের আপগ্রেডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প বিশেষজ্ঞদের অনুমান, একটি প্ল্যাটফর্মের পুরো জীবনচক্রের বিনিয়োগ, যা আপগ্রেডেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং ওভারহোল (MRO) বাবদ হয়ে থাকে, তা মূল অধিগ্রহণ ব্যয়ের ২০০-৩০০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।