পর্নোর প্রলোভনে নির্যাতন, জলহাটির মহিলার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা!

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জলহাটিতে এক মহিলার উপর ছয় মাস ধরে চলা নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা আরিয়ান খান এবং তার মা শ্বেতা খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মহিলাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে পর্নোগ্রাফি শ্যুট ও বার ডান্সারের কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল। রাজি না হওয়ায় তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর, গোপনাঙ্গে আঘাত এবং খাবার না দিয়ে নির্যাতন করা হয়। মহিলার হাত, পা, কোমর এবং দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শনিবার কোনোমতে পালিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচেছেন এবং বর্তমানে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
মহিলার পরিবার খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তে জানা গেছে, শ্বেতা খান ‘ইসারা এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে একটি প্রোডাকশন হাউসের আড়ালে এই অপরাধ চালাতেন। তাদের ইউটিউব চ্যানেলে গত চার বছরে মাত্র ১১টি মিউজিক ভিডিও আপলোড হওয়ায় সন্দেহ বেড়েছে। পরিবারের দাবি, মহিলাকে এতটাই মারধর করা হয়েছিল যে তিনি দাঁড়াতে পারছিলেন না। পুলিশ মামলা রুজু করেছে, তবে অভিযুক্তরা পলাতক। এই ঘটনা সমাজে নারী নিরাপত্তা ও প্রলোভনের ফাঁদ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।