লস অ্যাঞ্জেলেসে অশান্তি, ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন কী বার্তা দেয়?

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) পদক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে জনতা। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, বিক্ষোভকারীরা আইসিই এজেন্টদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, এবং স্থানীয় পুলিশের প্রতিক্রিয়া ছিল ধীর। ফলে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের আপত্তি সত্ত্বেও ট্রাম্প ২০০ ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েন করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, মার্কিন মেরিনদেরও উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপ আমেরিকার ইতিহাসে বিরল, যা ট্রাম্পের কঠোর আইন-শৃঙ্খলা নীতির ইঙ্গিত দেয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ দাবি করেছে, বিক্ষোভ মূলত শান্তিপূর্ণ ছিল এবং তারা ৫৫ মিনিটের মধ্যে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে। তবে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নয়েম স্থানীয় পুলিশের প্রতিক্রিয়াকে অপর্যাপ্ত বলে সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প রবিবার সকালে ন্যাশনাল গার্ডের প্রশংসা করে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন, যদিও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডেমোক্র্যাটরা এই মোতায়েনকে উস্কানিমূলক বলে অভিযোগ করেছেন। সিনেটর কোরি বুকার বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে ট্রাম্প বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। গ্রীষ্মকালে আমেরিকায় বিক্ষোভের ইতিহাস রয়েছে, এবং এই ঘটনা একটি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা হতে পারে।