গোপন তথ্য ফাঁস! ভারতের আকাশপথে কি তবে সিঁধ কাটছে ড্রাগন?

কথায় আছে, অচেনা বন্ধুর চেয়ে পরিচিত শত্রুও ভালো। কিন্তু শত্রু যদি অচেনা হয় তাহলে কী হতে পারে? চীনের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিন্তু এমনই। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীনের বহু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই, তা বলাই বাহুল্য। ভারতের হাতে শীঘ্রই বাকি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলো আসবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের হাতে এলে তার শক্তি যে বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য। এটি শত্রুপক্ষের হামলা থেকে ভারতের আকাশকে দুর্ভেদ্য করে তুলবে। তবে, ভারতের দুই শত্রু দেশের মধ্যে একটি দেশ, অর্থাৎ চীনের কাছে এই সিস্টেমটি ইতিমধ্যেই রয়েছে। ২০১৪ সালে চুক্তি সম্পন্ন করার পর চীন এটি হাতে পায়। ভারত এখনও এটি হাতে না পেলেও চীন বেশ কয়েক বছর ধরে এটি ব্যবহার করছে, ফলে এর সুবিধা-অসুবিধা তাদের জানা।
তবে, এয়ার ডিফেন্সের ক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের কাছে নিজেদের অবস্থান এবং প্রযুক্তি সর্বদা গোপন রাখা উচিত। আর সেই কারণে রাশিয়ার এস-৪০০ ক্রয় করা হলেও কিছুটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। রাশিয়ার থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করা হলেও ভারতের হাতে ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বারাক-৮ আগে থেকেই রয়েছে, যা সত্যি চীনের কাছে চিন্তার বিষয়। কারণ ইসরায়েলের প্রযুক্তিকে হেলাফেলা করা যায় না, তা সারা বিশ্বই জানে। বারাক-৮ ভারতের একাধিক যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন করা আছে। সম্প্রতি বারাক-৮ এর আর্মি ভ্যারিয়েন্টের সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ডিফেন্স সিস্টেমটি ২০১৭ সাল থেকে তৈরির কাজ চলছে। যুদ্ধাস্ত্রটি সম্পর্কে খুব একটা বিস্তারিত এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে এটি ম্যাক ২ অর্থাৎ ২৩ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে শত্রুপক্ষের হুমকির মোকাবেলা করতে পারে। বর্তমানে ভারত এবং ইসরায়েল এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।