ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’! হাইড্রোজেন বোমা কি পাকিস্তানকে মুহূর্তে ধ্বংস করবে?

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা, বিশেষ করে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ও অপারেশন সিন্দুরের পর, পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। পাকিস্তান প্রায়শই তার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয়, কিন্তু ভারতের অস্ত্রাগার অনেক বেশি উন্নত। উভয় দেশের কাছে প্রায় সমান সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেও (ভারতের ১৮০, পাকিস্তানের ১৭০), ভারতের থার্মোনিউক্লিয়ার বা হাইড্রোজেন বোমা পাকিস্তানের প্রচলিত পারমাণবিক বোমার চেয়ে ১০০০ গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক। ১৯৯৮ সালে ভারত পাঁচটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে, যার মধ্যে একটি ছিল হাইড্রোজেন বোমা। এই অস্ত্র মুহূর্তে বিশাল এলাকা ধ্বংস করতে সক্ষম।
হাইড্রোজেন বোমা একটি বহু-পর্যায়ের অস্ত্র, যেখানে প্রথমে প্লুটোনিয়াম বা ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক বিভাজন শক্তি উৎপন্ন করে, তারপর হাইড্রোজেন গ্যাসের ফিউশন প্রক্রিয়া বিস্ফোরণকে আরও শক্তিশালী করে। এটি হিরোশিমার পারমাণবিক বোমার চেয়ে হাজার গুণ শক্তিশালী। শুধুমাত্র ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের কাছে এই থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র রয়েছে। পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে এমন উন্নত অস্ত্র নেই বলে ধারণা করা হয়। এই জটিল প্রযুক্তি তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন, যা ভারতকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রাখে। ভারতের এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ শুধু প্রতিরোধ নয়, বিশ্ব মঞ্চে দেশের প্রভাব বাড়িয়ে তুলছে।