বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে: আয়লা বিধ্বস্ত পাকিস্তান, দারিদ্র্যতা আরও বাড়বে

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে এবং দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্টে এই চিত্র আরও স্পষ্ট হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রায় ৪৫% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এর মধ্যে ১৬.৫% মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, পাকিস্তানের ২.৬% অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দারিদ্র্য কমাতে যথেষ্ট নয়। উপরন্তু, প্রতি বছর প্রায় ২% জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দারিদ্র্য আরও বাড়ছে। কৃষি খাতেও বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গড় বৃষ্টিপাতের ৪০% কম হওয়ায় এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণে তুলা উৎপাদন ২৯.৬% কমেছে এবং চাল উৎপাদন ১.২% কমেছে। ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার ফলে পাঞ্জাব প্রদেশে জলপ্রবাহ ১৫% কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ভারতের দারিদ্র্য বিমোচনে অসাধারণ সাফল্য
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত গত ১০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০১১-১২ সালে যেখানে দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করত, সেখানে ২০২২-২৩ সাল নাগাদ এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫.৩ শতাংশে। দারিদ্র্য পরিমাপের জন্য এখন নতুন মানদণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে—প্রতিদিন ৩ মার্কিন ডলার (২০২১ সালের মূল্য অনুযায়ী), যা আগের ২.১৫ ডলারের সীমা থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এই সংশোধিত মানদণ্ড অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে প্রায় ৫.৪৪ কোটি মানুষ প্রতিদিন ৩ ডলারেরও কম আয় করে জীবনযাপন করছিল।