চতুর্থ দিনে ‘হাউসফুল ৫’ এর কাছে ধরাশায়ী ‘ঠগ লাইফ’, বক্স অফিসে খারাপ অবস্থা

চতুর্থ দিনে ‘হাউসফুল ৫’ এর কাছে ধরাশায়ী ‘ঠগ লাইফ’, বক্স অফিসে খারাপ অবস্থা

কমল হাসান এবং মণি রত্নমের বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘ঠগ লাইফ’ বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। ৩৮ বছর পর এই কিংবদন্তি জুটির প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভক্তদের অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু নেতিবাচক রিভিউ এবং দর্শকদের উদাসীনতা চার দিনের মধ্যেই চলচ্চিত্রটিকে মুখ থুবড়ে ফেলেছে।

আসুন, ‘ঠগ লাইফ’-এর চতুর্থ দিনের কালেকশন এবং এর ব্যর্থতার কারণগুলি দেখে নিই।

বক্স অফিস কালেকশন

‘ঠগ লাইফ’ ৫ জুন মুক্তির প্রথম দিনে ১৫.৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে, যার মধ্যে তামিল সংস্করণ থেকে আসে ১৩.৩৫ কোটি টাকা। তবে, দ্বিতীয় দিনে ৫৩.৮৭% ব্যাপক পতনের সাথে এটি ৭.১৫ কোটি টাকায় নেমে আসে। তৃতীয় দিনে (শনিবার) চলচ্চিত্রটি ৭.৭৫ কোটি টাকা আয় করে, এবং চতুর্থ দিনে (রবিবার) ৬.৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। চার দিনের বর্ধিত উইকেন্ডে চলচ্চিত্রটি মোট ৩৬.৯০ কোটি টাকা (নেট) আয় করেছে, যা এই বড় বাজেটের চলচ্চিত্রের জন্য হতাশাজনক। তামিলনাড়ুতে চলচ্চিত্রটি ৩৩.৩০ কোটি টাকার গ্রস কালেকশন পেয়েছে, কিন্তু হিন্দি এবং তেলেগু বাজারগুলিতে এর পারফরম্যান্স অত্যন্ত দুর্বল ছিল।

হিন্দি সংস্করণের দুর্দশা

‘ঠগ লাইফ’-এর হিন্দি ডাবড সংস্করণ দর্শকরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে। চার দিনে এটি মাত্র ১.৪০ কোটি টাকা আয় করেছে, যার মধ্যে প্রথম দিনে ৬৫ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় দিনে ২৫-৩০ লাখ টাকা অন্তর্ভুক্ত। এর একটি বড় কারণ হল অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’-এর মুক্তি, যা হিন্দি বলয়ে দর্শকদের আকর্ষণ করেছে। হিন্দি শো-গুলিতে গড় দর্শক উপস্থিতি মাত্র ৫.৭৯% ছিল, যা এর প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেয়।

বিতর্কের কারণে ক্ষতি

কমল হাসানের একটি বিতর্কিত মন্তব্যের (যেখানে তিনি বলেছিলেন ‘কান্নড় ভাষা তামিল থেকে এসেছে’) কারণে কর্ণাটকে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে চলচ্চিত্রটির ৩৫-৪০ কোটি টাকা লোকসান হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে, কারণ কর্ণাটক তামিল চলচ্চিত্রের একটি বড় বাজার। এই বিতর্ক চলচ্চিত্রটির আয়ে গভীর আঘাত হেনেছে।

ভক্তদের প্রতিক্রিয়া

‘ঠগ লাইফ’ দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। একটি মিডিয়া রিপোর্ট এটিকে ‘পুরনো বোতলে পুরনো মদ’ বলে অভিহিত করেছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় চরিত্র এবং দুর্বল চিত্রনাট্য গল্পকে দুর্বল করেছে। কেউ কেউ লিখেছেন যে, দ্বিতীয়ার্ধ ‘গল্পকে গভীর খাদে ফেলে দেয়’। এ.আর. রহমানের সঙ্গীতও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, যা দর্শকদের হতাশ করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *