অপারেশন সিঁদুর পার্ট-২ এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বায়ুসেনা, শত্রুর ঘরে না ঢুকেই ফের বড় হামলা!

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রস্তুতি: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া অপারেশন সিঁদুর পার্ট-১ এর পর ভারতের তিন বাহিনী তাদের অস্ত্রের সক্ষমতা ও দুর্বলতা নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করছে।
এই আত্ম-পর্যালোচনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে সরকার এখন বিমান বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তিনটি অত্যাধুনিক গুপ্তচর বিমান কেনার জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এই গুপ্তচর বিমানগুলি পাওয়ার ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনী বাতাস থেকে স্থলভাগের কার্যকলাপের স্পষ্ট চিত্র পেতে সক্ষম হবে। একই সাথে, তারা শত্রুর স্থল ঘাঁটি যেমন রাডার স্টেশন, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং অন্যান্য মোবাইল গাড়ি চিহ্নিত করে নির্ভুল হামলা চালাতে পারবে।
জুনের শেষ সপ্তাহে মিলবে অনুমোদন
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, গোয়েন্দা, নজরদারি, লক্ষ্য অর্জন এবং পুনরুদ্ধার (আই-স্টার) বাড়ানোর জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি জুনের চতুর্থ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-স্তরের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আই-স্টার বিমান বাহিনীকে বাতাস থেকে স্থলভাগের উপর নজরদারি করার ক্ষমতা প্রদান করে, যা বিমান বাহিনীকে নির্ভুল হামলা চালাতে সাহায্য করে।
তারা জানিয়েছেন যে, ডিআরডিও (DRDO) দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে এমন গুপ্তচর বিমান প্রকল্পে বোয়িং এবং বোম্বার্ডিয়ার সহ বিদেশী নির্মাতাদের কাছ থেকে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে তিনটি বিমান কেনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বিমানগুলিতে অনবোর্ড সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে দেশীয় হবে, কারণ ডিআরডিও-এর সেন্টার ফর এয়ারবর্ন সিস্টেমস (CABS) ইতিমধ্যে সেগুলি সফলভাবে তৈরি করেছে।
নির্বাচিত দেশের ক্লাবে যুক্ত হবে
তিনি বলেন যে, সিস্টেমগুলি ইতিমধ্যেই সিএবিএস দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তৈরি করা হয়েছে। এখন সেগুলিকে সেই তিনটি গুপ্তচর বিমানের সাথে একত্রিত করতে হবে। আই-স্টার সিস্টেমের বিকাশের মাধ্যমে ভারতও আমেরিকা, ব্রিটেন, ইসরায়েল এবং কিছু অন্য দেশ সহ এমন ক্ষমতা সম্পন্ন নির্বাচিত দেশের ক্লাবে যুক্ত হবে।
আই-স্টার সিস্টেম গতিশীল এবং সময়-সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষমতা প্রদান করে এবং জাতির নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এটি অনিশ্চিত হুমকির মাত্রা এবং জটিলতা কমাতে সহায়তা করে। এতে অনিয়মিত বাহিনীকে সনাক্ত করা এবং তাদের উপর নজরদারি করার ক্ষমতা অর্জিত হয়।