কতটা শক্তিশালী আমেরিকার ন্যাশনাল গার্ডস? কেন ট্রাম্পকে লস অ্যাঞ্জেলেসে তাদের মোতায়েন করতে হলো?

বর্তমানে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় ফেটে পড়েছে, তারা গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছে। এই কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ফোর্স মোতায়েন করেছেন। এর ফলে আন্দোলনকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এবং বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্বলন্ত গাড়ির অনেক ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। চলুন জেনে নিই, এই আমেরিকান গার্ডস কতটা শক্তিশালী।

এই বিক্ষোভের মূল কারণ হলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ। নথিপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফেডারেল ইমিগ্রেশন রেড করা হয়েছিল, যেখানে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তার এবং রেড-এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ চলছে।

ন্যাশনাল গার্ডস: কারা এরা এবং কখন এদের মোতায়েন করা হয়?

হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ডস মোতায়েন করেছেন। ন্যাশনাল গার্ডস অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে। ন্যাশনাল গার্ডস আমেরিকান সশস্ত্র বাহিনীর রিজার্ভের অংশ। এদের দুটি শাখা রয়েছে: আর্মি ন্যাশনাল গার্ড এবং এয়ার ন্যাশনাল গার্ড। ১৯০৩ সালে মিলিশিয়া অ্যাক্টের মাধ্যমে এটি গঠিত হয়েছিল। সাধারণত ন্যাশনাল গার্ডস প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন জরুরি অবস্থা, ভূমিকম্প বা বন্যার সময় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য মোতায়েন করা হয়। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার জঙ্গলে আগুন লাগার সময়ও এদের ডাকা হয়েছিল। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যও এদের মোতায়েন করা হয়।

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন সম্পর্কিত রেড-এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং মানুষ আমেরিকান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (ICE) বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। এখন এই গার্ডসদের কাজ হলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং আমেরিকান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সহ ফেডারেল এজেন্টদের রক্ষা করা। এই সময়ে, এই সেনারা অভিবাসন অভিযান চালাবে না এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনটি শর্তে এই গার্ডসদের মোতায়েন করতে পারেন: প্রথমত, যদি আমেরিকা কোনো বিদেশি জাতি দ্বারা আক্রান্ত হয় বা আক্রমণের হুমকি থাকে; দ্বিতীয়ত, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা বিদ্রোহের হুমকি থাকে; এবং তৃতীয়ত, প্রেসিডেন্ট যদি নিয়মিত বাহিনীর মাধ্যমে আমেরিকার আইন প্রয়োগে অক্ষম হন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *