আমেরিকায় ইমিগ্রেশন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আরও একবার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউজুমের (Gavin Newsom) মধ্যে বিরোধ তীব্র হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসের (Los Angeles) রাস্তায় বিপুল সংখ্যক ন্যাশনাল গার্ড (National Guard) এবং মেরিন (Marine) মোতায়েন করার পর বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

তাও রাজ্যের অনুমোদন ছাড়াই। কিন্তু এখন এই পুরো বিতর্কে একটি নতুন মোড় এসেছে। ট্রাম্পের ২০২০ সালের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তিনি নিজেই বলছেন যে, “গভর্নর-এর অনুরোধ না এলে আমরা ন্যাশনাল গার্ড পাঠাতে পারি না।”

২০২০ সালে যা বলেছিলেন, ২০২৫ সালে তার উল্টোটা করলেন

এই ভাইরাল ক্লিপটি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের, যখন তিনি এবিসি নিউজকে (ABC News) দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছিলেন, “আমরা আইনের আওতায় থেকেই কাজ করি। রাজ্যপালের চাহিদা ছাড়া আমরা ন্যাশনাল গার্ড পাঠাতে পারি না। পোর্টল্যান্ডেও আমরা ইনসারেকশন অ্যাক্ট (Insurection Act) প্রয়োগ করিনি কারণ এটির প্রয়োজন ছিল না।” এখন পাঁচ বছর পর সেই ট্রাম্প, আবার রাষ্ট্রপতি হয়েছেন এবং সেই ন্যাশনাল গার্ড, এখন তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে না জিজ্ঞেস করেই মোতায়েন করেছেন।

৪ দিন ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ, ট্রাম্প পাঠালেন ২,৭০০ জওয়ান

ইমিগ্রেশন আইনের বিরুদ্ধে জনগণ ক্রমাগত প্রতিবাদ করছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। এরই মধ্যে ট্রাম্প ২,০০০ নতুন ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই ফোর্স ইতিমধ্যেই থাকা ২,০০০ জওয়ানের অতিরিক্ত, অর্থাৎ মোট ৪,৭০০ সৈনিক রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে, এবং এখন এই সিদ্ধান্তে তীব্র রাজনীতি শুরু হয়েছে।

‘অবৈধ এবং অনৈতিক পদক্ষেপ এটি’ গভর্নর নিউজুমের পাল্টা জবাব

গভর্নর গেভিন নিউজুম ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সংবিধানের বিরুদ্ধে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে, রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া সেনা পাঠানো কেবল বেআইনিই নয়, গণতন্ত্রের জন্যও হুমকি। এমএসএনবিসি (MSNBC) চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। গভর্নর-এর সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প তার নিজস্ব স্টাইলে পাল্টা জবাব দিয়েছেন। ট্রাম্প গভর্নরকে ব্যর্থ বলে অভিহিত করেছেন এবং বিক্ষোভকারীদের হিংসাত্মক দাঙ্গাকারী আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে, তার কাজ আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলা।