আরও এক শাশুড়ি ঘটালেন কাণ্ড, জামাইকে নিয়ে চম্পট, স্ত্রী বললেন- “সাহেব! আমার মাসি রোজ…”

আরও একবার এক শাশুড়ি এক বিশাল কাণ্ড ঘটিয়েছেন। হ্যাঁ, আবারও এই শাশুড়ি নিজের জামাইকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। গত দুই মাস ধরে শাশুড়ি-জামাইয়ের এমন অনেক প্রেমের ঘটনা সামনে আসছে, এবং আলিগড়ের (Aligarh) পর এবার গণ্ডা (Gonda) থেকেও এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
আসলে, শাশুড়ি নিজের হবু জামাইয়ের সাথে পালিয়ে গেছেন। আসলে, এখানে একজন জামাইয়ের তার বিধবা মাসির সাথে গত চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারপর একদিন দুজনেই পালিয়ে যায়। এখন স্ত্রী তিন সন্তানকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসপি-র (SP) কাছে ন্যায় বিচার চাইতে পৌঁছেছেন।
কয়েক বছর আগে হয়েছিল বিয়ে
আপনার তথ্যের জন্য বলে রাখি যে, এটি নবাবগঞ্জ (Nawabganj) এলাকার ঘটনা। আসলে, এখানে বসবাসকারী এক বিবাহিত মহিলা তার স্বামী এবং বিধবা মাসির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী মহিলা বলেছেন যে তার স্বামী তার বিধবা মাসিকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই সময় মহিলা এসপি-কে বলেছেন- “সাহেব! আমার বাপের বাড়ি ধানেপুরে (Dhanepur)। আমার বিয়ে বাহরাইচ (Bahraich) এর নবাবগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা ইরফানের (Irfan) সাথে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর হয়েছিল।”
৩ সন্তান নিয়ে থানায় হাজির
অন্যদিকে, ভুক্তভোগী মহিলা বলেছেন যে, বিয়ের পর আমাদের একটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে হয়েছে। মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তার স্বামী ইরফান তার মাসির সাথে পালিয়েছে। এদিকে, ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তিনি গণ্ডা থেকে লখনউ (Lucknow) পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভুক্তভোগী মহিলার মতে, বিয়ের কিছুদিন পর সে রোজগারের জন্য স্বামীর সাথে লখনউ চলে আসে। যেখানে তারা ভাড়া করা ঘরে থাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, স্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, তিনি ঘরে থাকতেন আর তার স্বামী ইরফান অটো চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করত।
স্ত্রী খুললেন অনেক বড় রহস্য
মহিলা এও বলেছেন যে, “আমার নিজের মাসি গণ্ডা জেলার খরগূপুর (Khargupur) থানা এলাকার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে আমার মাসির স্বামী অকালমৃত্যু বরণ করেন। এরপর মাসির লখনউতে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু হয়। প্রথমে আমি এটাই ভেবেছিলাম যে হয়তো মাসি স্বামীর মৃত্যুতে খুব দুঃখিত। একা হয়ে পড়েছেন। তাই হয়তো মন শান্ত করার জন্য আমাদের এখানে আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু এর মধ্যেই আমার স্বামী এবং মাসির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়ে যায়।”