লস অ্যাঞ্জেলেসে দাঙ্গা, বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর; মেয়র কারফিউ জারি করলেন

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাঙ্গা, বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর; মেয়র কারফিউ জারি করলেন

ডিজিটাল ডেস্ক, নতুন দিল্লি: আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের কারণে শহরের কেন্দ্রে কারফিউ জারি করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র (Mayor) এই কারফিউ জারি করেছেন। মেয়র কারেন বাস (Karen Bass) বলেছেন, “আমি স্থানীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে (downtown) ভাঙচুর ও লুটপাট বন্ধ করার জন্য কারফিউ জারি করেছি।”

মেয়রের মতে, কারফিউ মঙ্গলবার (১০ জুন ২০২৫) রাত ৮টা (স্থানীয় সময়) থেকে বুধবার (১১ জুন ২০২৫) সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। কারেন বাস বলেছেন যে, কারফিউ কয়েক দিন ধরে জারি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেয়র কারেন বাস বলেছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের অভিবাসী নাগরিকদের বাড়িতে চলমান অভিযানের প্রতিবাদে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

যান চলাচলেও বিক্ষোভের প্রভাব

সিয়াটেল (Seattle), অস্টিন (Austin), শিকাগো (Chicago) এবং ওয়াশিংটন, ডি.সি. (Washington, D.C.) এর মতো শহরগুলিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়েছে। এর কারণে ফেডারেল বিল্ডিংয়ের (Federal Building) কাছে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

অন্যদিকে, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভকে শান্তি, জনশৃঙ্খলা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের উপর একটি সম্পূর্ণ আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি উত্তর ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্রাগে (Fort Bragg, North Carolina) মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে তার ভাষণে এই কথা বলেছেন।

ট্রাম্প কী বললেন?

তিনি বলেছেন, “এরা পেশাদার। এরা অপেশাদার নয়।” তিনি এও বলেছেন যে, তারা মার্কিন সিনেটরদের (US Senators) সাথে মিলে মার্কিন পতাকা পোড়ানো লোকেদের “এক বছরের” জন্য জেলে পাঠানোর জন্য আইন পাস করার কাজ করছেন।

সহিংসতা মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ড (National Guard) মোতায়েন

বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে। তবে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প সোমবার (৯ জুন ২০২৫) বলেছেন যে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় (California) ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে “খুব ভালো সিদ্ধান্ত” নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য এবং মেরিনদের (Marines) মোতায়েন করার কারণে এই বিক্ষোভ আরও সহিংস হয়ে উঠেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *