আকাশের অতন্দ্র প্রহরী! বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার হাতে?

একুশ শতকে আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং শত্রু দেশের বিমান হামলার মতো অদৃশ্য হুমকি ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমান সময়ে কোনো দেশের শক্তি কেবল তার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করে না, বরং তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপরও নির্ভর করে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে ছিল, তখন পাকিস্তান ভারতের দিকে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছিল। কিন্তু অবাক করা বিষয়, সেগুলোর একটিও বড় শহরগুলোতে পৌঁছাতে পারেনি। এর কারণ হলো, ভারতীয় আকাশসীমার নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল এক ‘নীরব রক্ষক’—রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি S-400 আধুনিক সুদর্শন চক্র। এই ব্যবস্থা আকাশে উড়ন্ত যেকোনো আক্রমণকে মুহূর্তেই প্রতিহত করতে সক্ষম।
S-400 ট্রায়াম্ফ: কীভাবে রাশিয়া হলো বিশ্বের সেরা?
রাশিয়াকে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অধিকারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার প্রধান কারণ হলো S-400 ট্রায়াম্ফ। রাশিয়ার আলमाज সেন্ট্রাল ডিজাইন ব্যুরো দ্বারা উন্নত এই সিস্টেম শত্রুর আকাশ হামলাকে এত দূর থেকে শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে যে, বিপদ মাটিতে পৌঁছানোর আগেই তা নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। S-400 একই সঙ্গে ৩০০টি লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে পারে এবং এতে ৪ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। ৫৬ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুও এটি ভেদ করতে পারে, আর এর রাডার ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে হুমকি শনাক্ত করে। এটি মাত্র ৫ মিনিটে মোতায়েন করা যায় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারে। ফাইটার জেট, ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের আকাশপথের হুমকি মোকাবিলায় এটি অত্যন্ত কার্যকর। রাশিয়া এই ব্যবস্থা ভারত, চীন ও তুরস্কের মতো দেশগুলোতেও রপ্তানি করেছে। ভারত এটিকে তার পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে সীমান্ত সুরক্ষা হিসেবে মোতায়েন করেছে, যাতে পাকিস্তান ও চীন থেকে আসা বিমান হামলা সময় মতো প্রতিহত করা যায়।