আজকের বিশ্ব এক ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ হয়ে উঠলেও, এর পাশাপাশি দেশগুলির প্রতি ঘৃণা এবং অবিশ্বাসও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ (World Population Review)-এর একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে নিউজউইক (Newsweek) একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছে, যা দেখায় যে বিশ্বজুড়ে কোন দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণার চোখে দেখা হয়। চমকপ্রদ বিষয় হলো, এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন, পাকিস্তান, ইরান বা ইরাক নয়। ভারতও এই তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে।

ঘৃণার তালিকায় শীর্ষে চীন: আমেরিকা, রাশিয়া ও পাকিস্তানও বাদ নেই!

এই তালিকায় চীন প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি গুরুতর কারণ রয়েছে – যেমন একনায়কতান্ত্রিক শাসন, সেন্সরশিপ, পরিবেশ দূষণ এবং উইঘুর মুসলিমদের প্রতি অমানবিক আচরণ। এছাড়াও, হংকং, তাইওয়ান এবং মাকাউয়ের স্বাধীনতা নিয়ে চীনের কঠোর নীতিও তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে।

তালিকার অন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশ:

• আমেরিকা: এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর ‘সুপারপাওয়ার’ মনোভাব, অস্ত্রের প্রতি আসক্তি এবং প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভ্যাস এটিকে অপছন্দের কারণ করে তোলে।
• রাশিয়া: তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়াকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
• পাকিস্তান: অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসী সংগঠনের আশ্রয়স্থল এবং ভারত-আফগানিস্তানের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে পাকিস্তানকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়।
• উত্তর কোরিয়া: এর কঠোর একনায়কতন্ত্র, কড়া শাস্তি এবং বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন সামরিক মনোভাবের কারণে এটি ভয় ও ঘৃণার কারণ।
• ইসরায়েল: ফিলিস্তিনের সাথে দীর্ঘদিনের সংঘাত এবং সামরিক অভিযানের সমালোচনার কারণে এই দেশটি বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
• ইরান: পশ্চিমা দেশগুলির সাথে উত্তেজনা, নাগরিক স্বাধীনতার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রক্সি যুদ্ধগুলিতে অংশগ্রহণের কারণে ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
• ইরাক ও সিরিয়া: ইরাক আজও সহিংসতা ও অস্থিরতায় ভুগছে। অন্যদিকে, সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ, দমনমূলক শাসন এবং মানবিক সংকট এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত দেশগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে।