মঙ্গলসূত্র কীভাবে উন্মোচন করল খুনি সোনমের রহস্য? মেঘালয় পুলিশের চাঞ্চল্যকর তথ্য

মঙ্গলসূত্র কীভাবে উন্মোচন করল খুনি সোনমের রহস্য? মেঘালয় পুলিশের চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার সকল অভিযুক্তকে শিলং আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এরপর সোনম রঘুবংশী এবং আরও চারজন অভিযুক্তকে শিলং সদর থানার বিভিন্ন সেলে রাখা হয়েছে। রাজা হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। এর মাঝেই মেঘালয় পুলিশ একটি বড় তথ্য দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, কীভাবে সোনমের মঙ্গলসূত্র এই খুনের মামলা সমাধানে সাহায্য করেছে।

সোনমের মঙ্গলসূত্র নিয়ে মেঘালয় পুলিশের ডিআইজি ডিএনআর মারাক একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, সোনম তার মঙ্গলসূত্র হোটেলেই রেখে গিয়েছিল। এনডিটিভি-এর একটি খবর অনুযায়ী, ডিআইজি বলেছেন, “হোম স্টে-এর ঘরে রাখা সুটকেসে আংটি এবং মঙ্গলসূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এর কারণে আমাদের সন্দেহ হয়। কোনো নববিবাহিতা কেন হানিমুনের সময় তার মঙ্গলসূত্র খুলে রাখবে?”

সোনমের কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং আকাশ রাজপুতকে সদর থানার একটি সেলে রাখা হয়েছে, অন্যদিকে বিশাল সিং চৌহান এবং আনন্দ সিং কুর্মীকে অন্য সেলে রাখা হয়েছে। পুলিশ সোনমকে খাবার পরিবেশন করেছিল এবং সে তা খেয়েওছিল। আদালতে পেশ করার আগে এবং পরে তাকে বেশ শান্ত দেখাচ্ছিল। অভিযুক্তদের আচরণের উপর কড়া নজর রাখার জন্য পুলিশ সদর থানা এবং সমস্ত সেলে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে।

আসামিদের গতিবিধি নিয়ে পুলিশের তথ্য: ঘটনার পর আসামিদের অবস্থান এবং গতিবিধি নিয়েও পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে। হত্যার পর আসামিরা শিলং থেকে গুয়াহাটি, তারপর ইন্দোর এবং অবশেষে গাজিপুর পৌঁছায়। এই প্রসঙ্গে যখন অতিরিক্ত এসপিকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে এটি কোনো বিশেষ গতিবিধি প্যাটার্ন কিনা, তখন তিনি বলেন যে এটি এখনও তদন্তের বিষয়। জিজ্ঞাসাবাদ যত এগোবে, আমরা তত বেশি তথ্য পাব যে এই গতিবিধি পরিকল্পিত ছিল নাকি কেবল পালানোর চেষ্টা ছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *