প্রাক্তন স্বামীকে স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী! মৃত্যু সংবাদ জানাতে গিয়ে ছলছল চোখ শুভাঙ্গীর

টিভি শো ‘ভাবি জি ঘর পর হ্যায়’-এর ‘অঙ্গুরি ভাবী’ চরিত্রে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভাঙ্গী আত্রে সম্প্রতি তার প্রাক্তন স্বামী পীষূষ পোরের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। পীষূষ পোর ২৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শুভাঙ্গী জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, পীষূষ যদি তার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না আনেন, তাহলে এমনটা ঘটতে পারে। এই সময় শুভাঙ্গী বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক তিনি কী বলেছেন।
প্রাক্তন স্বামীকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ শুভাঙ্গী
শুভাঙ্গী ভিরাল ভায়ানিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি শুধু এটাই বলব যে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় এটা আসক্তির কারণে হয়েছে। চিকিৎসকরা অনেক আগেই বলেছিলেন যে, যদি সে তার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না আনে, তাহলে এমনটা হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমি তাকে সব ভালো স্মৃতির জন্য মনে রাখতে চাই। আমি তাকে ভালোবাসতাম এবং সম্ভবত আমি তাকে কখনোই ভুলতে পারব না।”
শুভাঙ্গী ও পীষূষের বিবাহবিচ্ছেদ
শুভাঙ্গী এবং পীষূষ ২০০৩ সালে ইন্দোরে বিয়ে করেন এবং ২০০৫ সালে তাদের মেয়ে আশির জন্ম হয়। তবে, ২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। শুভাঙ্গী জানান, বিবাহবিচ্ছেদের কারণ ছিল পীষূষের মদ্যপানের আসক্তি, যা তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত রাতারাতি নেওয়া হয়নি। ২০১৮-২০১৯ সালের দিকে সমস্যা শুরু হয় এবং অবশেষে ২৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।”
বিবাহবিচ্ছেদের পরেও সাহায্য করেছেন শুভাঙ্গী
শুভাঙ্গী আরও জানান যে, বিবাহবিচ্ছেদের পরেও তিনি পীষূষের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি তাকে সবসময় সাহায্য নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছি। আমি তার পরিবারের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিলাম।”
শুভাঙ্গী আরও বলেন, “আমি পীষূষকে শুধু ভালো স্মৃতির জন্য মনে রাখতে চাই। আমাদের মেয়ে আশি, যে ইউএস-এ পড়াশোনা করছে, সেও তার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করবে। এরপর আমরা দুজনেই ইন্দোর যাব।”
উল্লেখ্য, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই শুভাঙ্গী তার স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান এবং এপ্রিলে তার প্রাক্তন স্বামী পীষূষের মৃত্যু হয়। শুভাঙ্গীর মতে, চিকিৎসকরা আগেই বলেছিলেন যে তার কাছে বেশি সময় নেই, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সবকিছু ঘটে যাবে, তা তারা জানতেন না।