রাজা রঘুবংশীর শেষ ছবি ভাইরাল: কপালে তিলক, মুখে শান্তি, কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্মান্তিক খুন!

রাজা রঘুবংশীর শেষ ছবি ভাইরাল: কপালে তিলক, মুখে শান্তি, কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্মান্তিক খুন!

ইন্দোরের পরিবহন ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যার রহস্য এখন একটি সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো উন্মোচিত হচ্ছে। যে হানিমুনকে রাজা তার নতুন জীবনের শুরু ভেবেছিলেন, সেটাই তার মৃত্যুর পথ হয়ে দাঁড়াল। এখন হত্যার ঠিক আগের রাজার শেষ ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে – কপালে কামাখ্যা মন্দিরের তিলক, মুখ শান্ত, কিন্তু পেছনে মৃত্যু ওঁত পেতে ছিল।

রাজা রঘুবংশী এবং সোনম বিয়ের পর হানিমুনের জন্য শিলং রওনা হয়েছিলেন। রাজার মন ছিল থাইল্যান্ডে যাওয়ার, কিন্তু সোনম জোর করে তাকে আসামের কামাখ্যা মন্দিরে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানেই দর্শনের পর রাজা তার শেষ ছবিটি তুলেছিলেন। ছবিতে তিনি একাই দাঁড়িয়ে আছেন, কপালে পূজার তিলক স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তদন্তে জানা গেছে যে সোনম এবং রাজা শিলং পৌঁছানোর আগেই তিন অভিযুক্ত গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছিল। তারা সবাই সোনমের কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার বন্ধু ছিল – আকাশ, আনন্দ এবং বিশাল। এই লোকেরা গুয়াহাটির আনন্দ লজে ছাত্র সেজে একটি রুম নিয়েছিল এবং ২০ মে সকালে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, তাদের উদ্দেশ্য ছিল গুয়াহাটিতেই রাজাকে মেরে ফেলার, কিন্তু সঠিক সুযোগ মেলেনি। অস্ত্রও গুয়াহাটি থেকেই কেনা হয়েছিল।

হানিমুন পরিণত হলো খুনের দিনে: ১৭ দিন পর ফাঁস হলো রহস্য!

রাজা এবং সোনমের বিয়ে হয়েছিল ১১ মে। ২১ মে দুজনেই শিলং পৌঁছান। ২৩ মে সোনম তার প্রেমিক রাজ এবং তিন বন্ধুর সহায়তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজাকে হত্যা করে। হত্যার পর দেহটি গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যার পর সোনম হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান, যার ফলে সন্দেহ আরও গভীর হয়।

রাজা এবং সোনমের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ না হওয়ায় পরিবার পুলিশে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। তল্লাশি অভিযানের সময় ২ জুন খাদ থেকে রাজার দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তদন্তের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরে যায়। অবশেষে ৯ জুন সোনম গাজিপুরের একটি ধাবায় ধরা পড়েন। রাজ এবং অন্যান্য অভিযুক্তদেরও মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের হাতে এখন সোনম এবং রাজের চ্যাট এসেছে, যা প্রমাণ করছে যে হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই করা হয়েছিল। সোনম বিয়ের দু’দিন পরই রাজাকে শেষ করার জন্য রাজের উপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করেছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *