আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে কর্তব্যরত কেবিন ক্রু সদস্য দীপক পাঠক বিমান দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগে তাঁর মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। তিনি তাঁর মাকে “শুভ সকাল” বলেছিলেন, কিন্তু তাঁর মা তখনো জানতেন না যে তিনি তাঁর ছেলের কণ্ঠ শেষবারের মতো শুনছেন। মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের বাসিন্দা দীপক পাঠক আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এই মর্মান্তিক খবর তাঁর শহর বদলাপুরে শোকের ছায়া ফেলেছে, যেখানে তাঁর বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা ঘটনার খবর শুনে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেছেন।

দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁর পরিবার তাঁর ফোন বেজে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁর কোনো খোঁজ পায়নি, যা তাঁদের মনে আশার ক্ষীণ আলো জ্বালিয়ে রেখেছিল। তাঁদের বিশ্বাস, যতক্ষণ ফোন বাজবে, ততক্ষণ খারাপ খবর তাঁরা মেনে নেবেন না। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে, যেখানে ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ১১ বছর ধরে এয়ার ইন্ডিয়াতে কাজ করা দীপক চার বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। এই ঘটনায় পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়ালের পরিবারেও শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে।