বোয়িংয়ের রহস্য: আমেদাবাদ দুর্ঘটনায় ফের প্রশ্ন!

বোয়িংয়ের রহস্য: আমেদাবাদ দুর্ঘটনায় ফের প্রশ্ন!

গুজরাতের আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনা নতুন করে বিমান নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তুলেছে। এই বিমানে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বিবৃতি দিয়ে ঘটনার তীব্রতা জানায়। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) তদন্ত শুরু করেছে, এবং ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের পর দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের আশা করা হচ্ছে। এই ঘটনা বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জনের প্রাণহানির পর। তদন্তে ম্যানুভারিং ক্যারেক্টারিস্টিক্স অগমেন্টেশন সিস্টেম (MCAS)-এর ত্রুটি প্রকাশ পায়, যা পাইলটদের অপ্রতুল প্রশিক্ষণের কারণে আরও জটিল হয়েছিল।

বিশ্বব্যাপী বোয়িং বিমান প্রায় ৬,০০০ দুর্ঘটনায় জড়িত, যার মধ্যে ৪১৫টি মারাত্মক এবং ৯,০০০-এর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান বিশ্বের হাজার হাজার যাত্রীবাহী ফ্লাইটে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায়। দুর্ঘটনার প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে পাইলটের ভুল, যেমন ফ্লাইট ম্যানেজমেন্ট কম্পিউটারে ভুল প্রোগ্রামিং বা জ্বালানির হিসাবে ত্রুটি, দায়ী। আমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা বোয়িংয়ের নকশা ও পাইলট প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূচনা করেছে। তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় থাকলেও, এই ঘটনা বিমান নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *